শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার সাংবিধানিক অধিকার হারিয়েছেন : ডক্টর তুহিন মালিক

প্রকাশিত: ১:০৯ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৬, ২০১৯

ভারতকে বিলিয়ে দেয়া জাতীয় স্বার্থ পরিপন্থী চুক্তি করে প্রধানমন্ত্রী সংবিধান লংঘন করেছেন।

স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সমুদ্র বন্দর, ফেনী নদীর পানি এবং জ্বালানী সঙ্কটময় দেশের গ্যাস ভারতের হাতে তুলে দেয়ার যে চুক্তি করা হলো, তা সুস্পষ্টভাবে সংবিধান পরিপন্থী। এটা বাংলাদেশ সংবিধানের ১৪৫ক অনুচ্ছেদের গুরুতর লংঘন। যা সংবিধানের ৭ক অনুচ্ছেদের অধীনে সংবিধান লংঘনজনিত রাষ্ট্রদ্রোহীতার অপরাধের শামিল। সংবিধানের ৭ক অনুচ্ছেদের অধীনে যার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।

বাংলাদেশের সংবিধানের ১৪৫ক ধারায় বলা হয়েছে ‘বিদেশের সাথে সম্পাদিত সকল চুক্তি রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করা হইবে এবং রাষ্ট্রপতি তাহা সংসদে পেশ করিবার ব্যবস্থা করিবেন।’

কিন্তু সরকার অদ্যাবধি ভারতের সাথে কোন চুক্তিই সংসদে পেশ করেনি। এবং এইসব দেশবিরোধী চুক্তি রাষ্ট্রপতি জানেন কি না, সেটাও যেন জনগণের জানার কোন অধিকার নাই। কারন রাষ্ট্রপতি যদি এটা জানতেন, তাহলে তো তিনি সংবিধানের আলোকে তা সংসদে পেশের ব্যবস্থা করতেন।

যদিও বর্তমান সংসদে কার্যকর কোনো বিরোধী দল নেই। তারপরও ভারতের সাথে সম্পাদিত চুক্তিগুলো সংসদে পেশ করলে পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে দেশের জনগণ তার বিস্তারিত জানতে পারতো। ভারতের সাথে সরকার কি কি চুক্তি করছে তা জানার অধিকার বাংলাদেশের জনগণের অবশ্যই রয়েছে। এই অধিকার দেশের জনগণকে দেশের সংবিধানই দিয়েছে।

রাষ্ট্র বিরোধী ও জাতীয় স্বার্থ পরিপন্থী এইসব চুক্তি করে প্রধানমন্ত্রী তার সাংবিধানিক শপথ ভংগ করেছেন। তিনি দেশের স্বার্থরক্ষায় তার কৃত শপথ ভঙ্গের প্রমান দিয়েছেন। নিজ দেশের স্বার্থের চাইতে বিদেশি রাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার সাংবিধানিক সকল অধিকার হারিয়েছেন।

ডক্টর তুহিন মালিক: আইনজ্ঞ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ