ক্ষমতাবান গাড়িটির দ্রুত ফাঁসি হোক: ডক্টর তুহিন মালিক

প্রকাশিত: ১০:৫২ অপরাহ্ণ, জুন ৩, ২০২০

‘রেঞ্জ রোভার’ ব্র‍্যান্ডের এই বিলাসবহুল গাড়িটিই ৭ মে এক্সিম ব্যাংকের এমডিকে লক্ষ্য করে গুলি করে।

এই গাড়িটিই ব্যাংকের এমডি এবং অতিরিক্ত এমডিকে অপহরণ করে সারারাত আটকে রেখে নির্যাতন করে।

এই গাড়িটিই হুমকি দিয়ে এবং জোর করে আটকে রেখে সাদা কাগজে সই নেয়।

এই গাড়িটিই গ্লাস নামিয়ে হক ব্রাদার্সের হাতে পিস্তল তুলে দিয়ে এমডিকে লক্ষ্য করে গুলি করায়।

‘রেঞ্জ রোভার’ ব্র‍্যান্ডের এই বিলাসবহুল গাড়িটির ক্ষমতার দাপটে দেশের ডাকসাইটে সব ব্যাংকাররা মামলার আগ পর্যন্ত টু শব্দটা করতে পর্যন্ত সাহস পায়নি।

এই গাড়িটিই এক্সিম ব্যাংককে ১৯ মে পর্যন্ত মামলা করতে রুখে রেখেছিল।

এই গাড়িটিই মামলার খবর দীর্ঘদিন ধরে দেশের কাউকেই জানতে দেয়নি।

এই গাড়িটিই থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাসকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসার অনুমতির নির্দেশ দেয়।

এই গাড়িটির দাপটেই ২৫ মে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিকদার ব্রাদার্স ব্যাংককে পাড়ি জমায়।

এই গাড়িটির দাপটেই সিকদার ব্রাদার্স দেশ ছেড়ে পালানোয় পরদিন ২৬ মে দেশবাসী তা জানতে পারে।

এই গাড়িটির দাপটেই সরকারিভাবে যথাযথ অনুমোদন নিয়েই ফ্লাইটটি ঢাকা ছাড়ে।

এই গাড়িটির দাপটেই করোনা ভাইরাসের কারনে বিমানবন্দরে বিধি নিষেধ থাকা স্বত্বেও সম্পুর্ন সুস্থ হক ব্রাদার্স সসম্মানে বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

এই গাড়িটির দাপটেই থানায় মামলা হলেও পুলিশ তাদেরকে খুঁজেই পায়নি।

এই গাড়িটির দাপটেই বিমানবন্দরে কর্মরত সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কেউ তাদের আটকাতে সাহস পায়নি।

এই গাড়িটির দাপটেই পুরো রাষ্ট্রশক্তি তাদেরকে বিদেশ যাবার ছাড়পত্র দিতে বাধ্য হয়।

এই গাড়িটির দাপটেই হক ব্রাদার্স নির্বিঘ্নে পুলিশ, প্রশাসন, গোয়েন্দা, ইমিগ্রেশন, মন্ত্রনালয়, দূতাবাস, বিমানবন্দর ও সরকারের পূর্ন সহায়তা নিয়েই বীরের মত দেশত্যাগ করে।

তাই অনতিবিলম্বে পুলিশের হাতে আটক এই ‘রেঞ্জ রোভার’ ব্র‍্যান্ডের বিলাসবহুল মহা ক্ষমতাবান গাড়িটিকে দ্রুত ফাঁসি দিয়ে দেশে আইনের শাসনকে সুপ্রতিষ্ঠিত করা হোক।

ডক্টর তুহিন মালিক
আইনজ্ঞ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ