শেখ হাসিনার বাংলাদেশে কোনো অনাচার চলবে না: শামীম ওসমান

প্রকাশিত: ১২:৫৭ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৭, ২০১৯

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান বলেছেন, আমাদের কেউ খারাপ হলে যেমন আমরা প্রশ্রয় দেব না- ছাড় দেব না, ঠিক তেমনি কেউ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিনা কারণে হয়রানি করলে তাকেও এক সেকেন্ড সময় দেব না। শেখ হাসিনার কর্মী হয়ে হয়রানির শিকার হবেন, ব্যবসায়ীরা ভয়ে দিন কাটাবেন, গণমাধ্যম কর্মীরা সত্য লিখতে পারবেন না- এমন নারায়ণগঞ্জ হতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার ভাবমূর্তি নষ্ট করা যাবে না। শেখ হাসিনার বাংলাদেশে কোনো অনাচার চলবে না।

জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি সামছুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল, সেক্রেটারি শওকত আলী, বন্দর আওয়ামী লীগ সভাপতি এমএ রশিদ, জেলা কৃষক লীগ সেক্রেটারি ইব্রাহিম চেঙ্গিস, মহানগর আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, শহর যুবলীগ সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শামীম ওসমান আরও বলেন, আপনারা যা দেখছেন সেটা আসল নয়। পর্দার আড়ালে কিছু খেলা হয়। কেউ কেউ ভুলে সে খেলায় পা দেন। হয়তো নারায়ণগঞ্জের মেহমানরা সেই খেলায় পা দিয়েছেন। আমি কারও নাম বলব না। বাইরের লোকজনদের দোষ দিয়ে কোনো লাভ নেই। আমার ঘরের লোকজনদের দোষ।

জরুরি কর্মিসভা হঠাৎ করেই প্রতিবাদ সভায় রূপ নেয়। নেতাকর্মীদের আবেগঘন কথাবার্তায় বিব্রত হন আয়োজকরা। দল থেকে গণপদত্যাগ করার হুশিয়ারি দেন নেতাকর্মীরা।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি আবু হাসনাত শহীদ বাদল, মহানগর সেক্রেটারি খোকন সাহা ও সহ-সভাপতি চন্দন শীলের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করা হয়। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জে কঠোর আন্দোলনসহ গণপদত্যাগের হুশিয়ারি দেন নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে শামীম ওসমান দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাত জোড় করে ক্ষমা চান এবং শান্ত থাকার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, নেত্রীর কাছে সব জানাব, নেত্রী যে সিদ্ধান্ত দেবেন এবং জেলা ও মহানগর কমিটির নেতারা একত্রে বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে আপনাদের জানাবেন। আর সে কর্মসূচি সফল করে প্রমাণ করে দেবেন নারায়ণগঞ্জের মাটি কাদের। আর পদত্যাগ করতে হলে আমি করব। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে নেতাকর্মীরা বলছেন তারা গণপদত্যাগ করবেন। কিন্তু আমি বলি, এত উত্তেজিত হওয়ার কিছু নেই।