শ্রীলঙ্কাকে ছয় বছর আগেই সতর্ক করেছিলাম: রেজা কিবরিয়া

প্রকাশিত: ১০:৪২ অপরাহ্ণ, মে ১১, ২০২২

শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে ছয় বছর আগেই সতর্ক করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া।

তিনি বলেন, আমি ছয় বছর আগে কিছু পরিসংখ্যান পড়ে তাদের সরকারকে নোট পাঠিয়েছিলাম। আমার একটা বন্ধু ওখানে ছিল, তারা আমার নোট নিয়ে হাসাহাসি করেছে তারা তখন বলেছে বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ শ্রীলঙ্কার শক্তি বোঝে না। এখানে কোনোদিন এটা হবে না। চিকিৎসক যেমন ব্লাড টেস্ট এবং বিভিন্ন রকমের টেস্টের ফলাফল দেখে বলে দিতে পারে আপনার কী সমস্যা আছে, আমি ছয় বছর আগে তাদের বলেছিলাম আপনাদের এই পরিসংখ্যান আমার মোটেই ভালো লাগছে না, আমার মনে হচ্ছে একটা বিপদ আসবে।

বুধবার (১১ মে) এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন তিনি।

ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকট এখন রাজনৈতিক সংকটেও রূপ নিয়েছে। যেটি পরবর্তীতে সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত বৈদেশিক ঋণ, দুর্নীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিপজ্জনক পর্যায়ে নেমে আসায় তাদের এই দুর্গতি। বাংলাদেশ বিপুল অঙ্কের ঋণ নিয়ে মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার মতো হবে কি না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অনেকেই উদ্বিগ্ন। তাদের একটাই প্রশ্ন বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থা হতে পারে কি না। আমার উত্তর হলো হ্যাঁ, হতে পারে কিন্তু এই মুহূর্তে না আরও কয়েক বছর সময় লাগবে। দেশের একজন অর্থনীতিবিদ বলেছে দুই-তিন বছর পর হতে পারে। আমি মনে করি পাঁচ-ছয় বছর পর হতে পারে, আমরা যে পথে আছি সেটা হওয়া সম্ভব। তখন এটা থেকে বের হয়ে আসতে আমাদের ১২ থেকে ১৫ বছর সময় লাগতে পারে। এই সমস্যাগুলো একদিনে হয় না। শ্রীলঙ্কা সরকারের অদক্ষতা তাদের দুর্নীতি তাদের স্বৈরাচারী শাসনের জন্য এই অবস্থা তৈরি হয়েছে।

চীনের অর্থায়নে হওয়া মেগাপ্রকল্পগুলোর সফলতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বড় অনেক প্রজেক্টের আমরা কোনো বেনিফিট পাবো না অনেক বছর পর্যন্ত। কক্সবাজারে একটা রেলওয়ে ট্রাক হচ্ছে এটাতেও কোনো লাভ নেই, চট্টগ্রামে একটা টানেলের করেছে এটা তো তেমন কোনো অর্থনৈতিক লাভ নেই। পায়রা সফলতার সম্ভাবনা অলমোস্ট জিরো। এতগুলো প্রকল্প তারা কেন নিয়েছে, কারণ মেগাপ্রকল্প একটা দুর্নীতিবাজ সরকারের খুব পছন্দ পছন্দের জিনিস কারণ মেগাপ্রকল্প মেগা কমিশন পাওয়া যায়। সমস্যা হলো তারা যে টাকা খরচ করেও যে টাকা চুরি করে সে টাকা মানুষের ঋণের বোঝা হয়ে ওঠে এবং জনগণকে সেই টাকা পরিশোধ করতে হয়।