ষড়যন্ত্র বন্ধ করে শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমা চান: সেলিম মাহমুদ

প্রকাশিত: ২:৪২ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৪, ২০২২

বিএনপির নেতাদের ষড়যন্ত্র বন্ধ করে শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ।

তিনি বলেন, পঁচাত্তরে সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যা, জাতীয় চার নেতাকে হত্যাসহ আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়ার পরিকল্পনায়। পরে জিয়ার অনুসারীরা হত্যা, ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। খালেদা-তারেকের নীল নকশায় জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনাসহ গোটা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব শূন্য করতে চেয়েছিল।

সোমবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির আয়োজনে ক্যান্টনমেন্ট থানা ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, আমরা অবাক হচ্ছি এজন্য যে, যারা এদেশে এত বছর হত্যা আর নাশকতার ঘৃণ্য রাজনীতি করে আসছে, তারা আবার মানবাধিকারের কথা বলছে। তারা আজ গণতন্ত্রের জন্য মায়া কান্না করছে। আমরা অবাক হই, অতীতের কৃতকর্মের জন্য যাদের আজ লুকিয়ে থাকার কথা, তাদের অভিশপ্ত অতীতের জন্য আজীবন মাথা নিচু করে থাকার কথা, তারা আজ আমাদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এমনকি আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর হুমকি দিচ্ছে। তাদের এই ঔদ্ধত্ব পুরো জাতিকে স্তম্ভিত করেছে। এটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সবচেয়ে ঘৃণ্যতম অপরাধ। এদেশের জনগণ এই নরপিশাচদের পিষে মারবে।

আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ এদেশের প্রতিটি ঘাস, লতাপাতা আর ধূলিকণার সঙ্গে মিশে আছে। আওয়ামী লীগকে উৎখাত করা এতো সহজ নয়। এদেশের কোটি কোটি মানুষ আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থক। যেকোনো অপশক্তিকে রুখে দিতে তারা সর্বদা প্রস্তুত।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত যা কিছু পেয়েছে, তার প্রত্যেকটিই জাতির পিতার কারণে অথবা তারই কন্যা শেখ হাসিনার কারণে পেয়েছে। এই দুইজন ছাড়া আর কেউ বাঙালি জাতিকে কিছু দিতে পারেনি।

তিনি বলেন, আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলছি, শেখ হাসিনাই আবার ক্ষমতায় আসবেন। ষড়যন্ত্রকারীরা যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন, কোনো লাভ নেই। এদের প্রতিটি ষড়যন্ত্র আমরা রুখে দেবো। আমাদের সেই সক্ষমতা রয়েছে। এদেশের জনগণ জানে, কারা প্রকৃতপক্ষে জনগণের বন্ধু।

ড. সেলিম আরও বলেন, ড. ইউনূসসহ কিছু ব্যক্তি বিদেশে লবিস্টের মাধ্যমে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে। এই টাকা বাংলাদেশ থেকে পাচার করা টাকা। একটি কথা মনে রাখবেন, এই একুশ শতকে ষড়যন্ত্র করে কেউ পার পাবে না।

ক্যান্টনমেন্ট থানা ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল ফারুক খান এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা۔ রোকেয়া সুলতানা।

সম্মেলন উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মান্নান কচি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্যান্টনমেন্ট থানার সভাপতি খলিলুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন মহানগর নেতা কর্নেল (অব) কানিজ ফাতেমা, ইয়াজউদ্দিন আহমেদ, ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।