বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ীতে বিয়ের প্রলোভনে এক গৃহবধু একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
অনুসন্ধান সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ীর হোড়ারদিঘী মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুল কাদেরের স্ত্রী জুলেখা বেগমের (ছদ্মনাম) সাথে একই এলাকার আফাজ উদ্দীনের পুত্র রায়হানের দীর্ঘদিন আগে থেকে প্রেম-ভালবাসার সম্পর্ক ছিল। আব্দুল কাদের ঢাকায় রিক্সা চালান। এর সুযোগে রায়হান ও কাদেরের স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত মঙ্গলবার টিপটিপ বৃষ্টির রাতে রায়হান গোপনে আব্দুল কাদেরের স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করে শারীরিক মেলামেশা করা অবস্থায় আব্দুল কাদেরের মা ও বাবা হাতেনাতে ধরে ফেলে। তখন এলাকার আব্দুল আলীম মীমাংসা করার কথা দিয়ে রায়হানকে ঘটনাস্থল থেকে অন্যত্র চলে যেতে সহায়তা করে।
ঘটনার পরের দিন মীমাংসার আশ্বাস দেয় আব্দুল আলীম। কিন্ত ঘটনার পর থেকে ধর্ষক রায়হান আত্মগোপন করেছে। বিষয়টি স্থানীয় মাতব্বররা ধামাচাপা দেয়ার জন্য নানান পায়তারা করছে।
এ বিষয়ে আব্দুল কাদেরের স্ত্রী জুলেখা বেগম (ছদ্মনাম) জানান, রায়হানের সাথে আমার ৪বছর আগে থেকে সম্পর্ক। সে আমাকে বিয়ে করার কথা বলে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। রায়হান আমার এতোবড় সর্বনাশ করেছে। আমি তার শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে আব্দুল কাদেরের মা জানান, আমার ছেলে ঢাকায় রিক্সা চালায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমার ছেলের বউয়ের ঘরে অন্য পুরুষের গলার আওয়াজ শুনতে পাই। বিষয়টা আমাকে সন্দেহ জাগালে আমি আমার স্বামীকে বিষয়টি জানাই এবং ঘরে তালা লাগিয়ে দেই। তখন প্রতিবেশীদেরকে ডাকি তারা আসার পর তালা খুলে দেয়া মাত্র পাশের বাড়ির রায়হান ঘর থেকে বের হয়। আমি তখন রায়হানের শার্টে কলার ধরি। তখন আব্দুল আলীম মীমাংসার আশ্বাস দিয়ে রায়হানকে নিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে গাবতলী মডেল থানার এস আই সুজা-উদ-দৌলা জানান, বিষয়টি নিয়ে গাবতলী মডেল থানায় ভিকটিমের বাবা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে তদন্তে বিষয়টির সত্যতা মিলেছে। মামলা করলে
আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
