সরকারবিরোধী কার্যকলাপ-পরিকল্পনায় লিপ্ত ছিলেন হেলেনা

প্রকাশিত: ৩:৫২ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০২১

আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটি থেকে সদ্য পদ হারানো হেলেনা জাহাঙ্গীর সরকারবিরোধী কার্যকলাপ ও পরিকল্পনায় লিপ্ত ছিলেন। তিনি অনলাইন ও ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে সরকারের মন্ত্রী ও বিভিন্ন সংস্থাকে কটূক্তি করতেন।

শুক্রবার (৩০ জুলাই) গুলশান থানায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) শেখ শাহানুর রহমান রিমান্ডের আবেদনে এসব কথা উল্লেখ করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ডের আবেদনে আরও বলেন, আসামি হেলেনা জাহাঙ্গীর দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সম্পর্কে মানহানিকর ও মিথ্যা তথ্য প্রকাশ ও প্রচারের মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোসহ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন।

রিমান্ডের আবেদনে তিনি আরও বলেন, আসামির সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এবং মহল আছে, যারা দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। আসামি এ মামলার ঘটনা স্বীকার করলেও তার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিকারী দল, গোষ্ঠী ও সংস্থা সম্পর্কে কোনো তথ্য প্রদান করেননি। তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার রাতে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গুলশানের বাসা থেকে আটক করা হয়। আটকের পর তার বিরুদ্ধে বাদী হয়ে শুক্রবার গুলশান থানায় দুটি মামলা দায়ের করে র‍্যাব। দুটি মামলার একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা হয়েছে। অন্যটি করা হয়েছে বিশেষ ক্ষমতা আইন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের চারটি ধারায়।

দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখানোর পর একই দিন সন্ধ্যায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে হাজির করা হয়। সেখানে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সম্প্রতি ‌‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামে একটি সংগঠনের পোস্টার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পোস্টারে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হেলেনা জাহাঙ্গীর আর সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মনিরের নাম উল্লেখ করা হয়।

 

সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক হিসেবে সাইফুল ইসলাম ইমনের ফোন নম্বর দিয়ে পদ প্রত্যাশীদের যোগাযোগ করতে বলা হয়। ওই পোস্টারে সংগঠনটির জেলা, উপজেলা ও বিদেশি শাখায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনার জেরে রোববার (২৫ জুলাই) আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।