আগামী ৭ ডিসেম্বর বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে শহর সেজেছে অনন্য রুপে। ব্যানার, ফেস্টুন আর বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে পুরো শহর। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মাঝেও খুশির রেখা দেখা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে দলীয় কার্যালয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৬ জন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
৩ ডিসেম্বর প্রার্থিতা বাছাই, ৪ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহার এবং ৭ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সম্মেলনে ৫১৫ জন কাউন্সিলর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত সিলেকশনের মাধ্যমেও নেতা নির্বাচিত করা হতে পারে বলে গুঞ্জন উঠেছে।
দলীয় সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ১০ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন কেন্দ্রীয় নেতারা মমতাজ উদ্দিনকে সভাপতি, মজিবর রহমান মজনুকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা দেন। ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।
গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিন মারা যান। মমতাজ উদ্দিন জীবিত থাকা অবস্থায় বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগে সভাপতি পদে তার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন না। কিন্তু এবারের চিত্র আলাদা। সভাপতি পদেই সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত ৮ জন প্রার্থী ফরম কিনেছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে ফরম কিনেছেন ১০ জন।
সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন দুলু, টি.এম.মুসা পেস্তা, জেলার সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনু, এ্যাড, রেজাউল করিম মন্টু, এ্যাড, মকবুল হোসেন মুকুল, এ্যাডঃ মোঃ তবিবুর রহমান তবি, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হায়দার আলী, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক শেখ শামিম। সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, মঞ্জুরুল আলম মোহন, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুর রহমান দুলু,প্রদীপ কুমার রায়,এ্যাডঃ জাকির হোসেন নবাব, প্রচার সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনি, এ্যাডঃ শফিকুল ইসলাম আক্কাস,শেরীন আনোয়ার জর্জিস, মীনহাদুজ্জামান লীটন, শাহারিয়ার আরিফ ওপেল, শেরপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ ফিরোজা খাতুন, পক্ষে আল-রাজী জুয়েল। এসব প্রার্থীদের অনেকেই তাদের সমর্থনে ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথা ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোরগুলো ছেয়ে গেছে। প্রতিদিন সম্মেলনকে সফল করার লক্ষে খন্ডখন্ড মিছিল বের হয়।