তিতুমির কলেজে অনলাইন ক্লাস শুরু

পারভেজ দেওয়ান পারভেজ দেওয়ান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১:৫৮ অপরাহ্ণ, মে ১১, ২০২০
ফাইল ছবি

করোনায় বিপর্যস্ত পুরো পৃথিবী।চীন থেকে শুরু করে এখন বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই করোনার ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে এ ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেলেও শুরুতে আমলে না নেওয়ায় ব্যাপার হারে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা। করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা।করোনার কারনে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে দেশের সব স্কুল,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রায় দুই মাস ধরে বন্ধ সব স্কুল কলেজ। বিপর্যয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।করোনার কারনে এবছরের এইচএসসি পরীক্ষা এখনো অনুষ্ঠিত হয় নি। যা গত এপ্রিলে হওয়ার কথা ছিল। করোনায় শিক্ষার্থীদের ক্ষতি কিছুটা কমানোর লক্ষে প্রায় প্রতিটা স্কুল,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন ক্লাস এর ব্যবস্থা গ্রহন করেছে । যার ধারাবাহিকতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ “সরকারি তিতুমির কলেজ “অনলাইন ক্লাস এর কার্যকর শুরু করেছে। সরকারি তিতুমির কলেজ এর হিসাব-বিজ্ঞান বিভাগের লেকচারার জনাব ইব্রাহিম আহসান টাইম বিডি ২৪ কে জানায় “একাধিক অনলাইন মিটিং এর মাধ্যমে বিভাগ সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি রুটিন করে। তারই ধারাবাহিকতায় বিবিএ প্রথম বর্ষ থেকে শুরু করে এমবিএ পর্যন্ত প্রতি বর্ষের জন্য অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়। প্রতি বর্ষের জন্য একটি করে ক্লোজ ফেসবুক গ্রুপ খোলা হয় যাতে ছাত্র শিক্ষক সবাই সবার সাথে যোগাযোগ করতে পারে। অলরেডি তিনটি ক্লাস হয়ে গিয়েছে। ক্লাসগুলো নির্দিষ্ট গ্রুপের ভিডিও আর্কাইভে জমা থাকবে যেনো ছাত্রছাত্রী রা পরবর্তীতে ও দেখতে পারে।এবং পরবর্তী সিদ্ধান্তের আগ পর্যন্ত এটা ধারাবাহিক ভাবে চলতে থাকবে।

তিতুমির কলেজ এর ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ রায়হান জানায়, “আমাদের শিক্ষা কার্যকর প্রায় ২ মাস ধরে বন্ধ।এবছরের নভেম্বরে আমাদের তৃতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা হওয়ার কথা।বর্তমানে করোনার কারনে ক্লাস- পরীক্ষা বন্ধ থাকায় সময় মতো পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

এমতাবস্থায় আমাদের সেশন জট হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।তবে আমাদের ডিপার্টমেন্ট থেকে অনলাইন ক্লাস এর ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে,যা আমাদের লেখা পড়ায় সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।” তিতুমির কলেজ এর হিসাব-বিজ্ঞান বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী শিমুল জানায়, “আমাদের ডিপার্টমেন্ট থেকে অনলাইন ক্লাস এর ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে একটি ক্লাস সম্পুর্ন হয়েছে।ক্লাস আমাদের জন্য উপকারী হলেও অনেকে এ উপকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে,কারন ডিপার্টমেন্টের অনেকেই বর্তমানে গ্রামে অবস্থান করছে। সেখানে অনলাইন সুবিধা নেই বললেই চলে। করোনার কারনে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ছয় মাস পিছিয়ে যাওয়া সম্ভাবনা দেখছেন অনেক শিক্ষক। সেক্ষেত্রে এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় অনলাইন ক্লাস এর উপর বেশি জোর দিচ্ছে তারা।এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের আন্তরিক হওয়ার আহবান করা হয়।