দেশের সব অর্জনে ঢাবির অবদান আছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১০:০৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৪, ২০২১

আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের যা অর্জন, তার পিছনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অনন্য বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে সব আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র। ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা অর্জন থেকে আজ পর্যন্ত যা কিছু বাংলাদেশের অর্জন হয়েছে তার পিছনে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনন্য অবদান রয়েছে। এখনকার তরুণ প্রজন্ম যারা দেশের জন্য অবদান রাখছে, তাদের সিংহভাগই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ভবিষ্যতেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে নিজ কর্মগুণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও ঐতিহ্য ধরে রাখবেন।’

ADVERTISEMENT

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের চতুর্থ দিনের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাবির শতবর্ষপূর্তির থিম সং পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আলোচনা পর্বের শুরু করা হয়।

সভায় আ’লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সর্বদা মুক্তচিন্তা ও মুক্তবুদ্ধির চর্চা করে নিজেদের আলোকিত করেছেন এবং সমাজ, দেশ ও জাতিকে আলোকিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও অনাগত শিক্ষার্থীদের এই আলোয় আলোকিত হওয়ার জন্য এসব চর্চা অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার সঙ্গে যোগসূত্র রেখে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমি গর্ববোধ করি। ষাটের দশকে এ ক্যাম্পাসে এসে আমি বঙ্গবন্ধুকে চিনেছি, বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন-সংগ্রাম-নেতৃত্ব দেখেছি এবং বাংলাদেশকে চিনেছি। প্রত্যেকটি আন্দোলন-সংগ্রামে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সম্মুখসারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আগামীতেও তারা দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহাদত আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে. চৌধুরী, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া অংশ নেন।