ছাত্রলীগের জুনিয়র বায়তুল্লাহ প্রাপ্তিতে অবহেলিত

প্রকাশিত: ১০:০৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ২, ২০২০

ভাষা সৈনিক, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ডেপুটি স্পিকার মোহাম্মদ বায়তুল্লাহ। বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। দীর্ঘকাল জাতীয় রাজনীতির সাথে জড়িত এই কিংবদন্তীর পরিবারের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তরাধিকার রয়েছেন একমাত্র দৌহিত্র মোহাম্মদ মেহেদী হাসান। দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন মেহেদী। মুক্তিচিন্তা কেন্দ্রিক ব্যক্তিত্বের কারণে চেনামহলে পরিচয় পেয়েছেন জুনিয়র বায়তুল্লাহ নামে। ২০০৬-০৭ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে প্রায় দশ বছর রাজনীতি করেছেন প্রাচ্যের অক্সফোর্ডের সবুজ চত্বরে। রাজপথ কিংবা শ্রেণীকক্ষ, সব স্থানেই ছিলো সমান বিচরণ। প্রথমবর্ষ থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে থাকার প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন ২০১১ সালে হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে। এরপর ২০১৩ সালে নির্বাচিত হয়েছেন সলিমুল্লাহ হল ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে। ২০১৫ সালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ছাত্রলীগের ২৮ তম সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে। পরাজিত হলেও ছাত্রলীগের সাথেই ছিলেন, কিন্তু পরবর্তীতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে তার ঠাঁই হয়নি।

কিছু না পেয়েও রাজনীতিতে টিকে থাকার পুরস্কারস্বরূপ দেখা হয়েছে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথেও। নওগাঁয় জন্ম নেয়া ছাত্রলীগের এই সাবেক নেতার আশা রাজনীতিতে সুযোগ পাবার। মেহেদী হাসানের বিষয়ে জানতে কথা হয়েছিলো নওগাঁ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক শরীফুল ইসলাম খানের সাথে। তার ছাত্রের সম্পর্কে বললেন, ‘আমার ছাত্র মেহেদীকে তো বেশ ভালো ভাবেই চিনি। ছেলেটা সেই দুর্দিন থেকেই রাজনীতিতে পরিশ্রম করেছে। পুরোদস্তর ঐতিহ্যবাহী রাজনীতিক পরিবারের ছেলে সে। আমার মতে তাকে রাজনীতিতে বিচরণের সুযোগ দেয়া উচিত।’

মেহেদী হাসানের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মী সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দিদার মো. নিজামুল ইসলাম মনে করেন তার সভাপতি পদবঞ্চিত হওয়াটা দুর্ভাগ্যজনক।

টাইমস বিডি২৪ এর সঙ্গে কথা হয়েছিলো মেহেদী হাসানের। বললেন, ‘পূর্ব পুরুষের যে সম্পদ রয়েছে তা আমার জন্য যথেষ্ট। নতুন করে কিছু পাওয়ার ইচ্ছে নেই, মুজিববাদ দর্শন নিয়েই এগোনোর স্বপ্ন দেখছি। মানুষের যে ১১ রুদ্র আছে, অন্ধতা, উগ্রতা, খুন, অন্যায়, হতাশা, ব্যর্থতা, ঘৃণা, নরহত্যা এসব দমন করে রাজনীতি করার স্বপ্নই দেখছি। নতুন করে জীবিকা নির্বাহের কিছু নেই। মানুষের মূল্যায়ন তার কর্মে, মোহ কিংবা সম্পদে নয়। কর্মের মাধ্যমেই মানুষ বেঁচে থাকে।