উপজেলা নির্বাচন আগের তুলনায় অনেক ভালো হয়েছে: হাছান মাহমুদ

প্রকাশিত: ৫:৪৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৫, ২০১৯

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এবারের উপজেলা নির্বাচন আগের তুলনায় অনেক বেশি ভালো হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি একটু কম ছিল, তবে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা বেশি হতো। তারপরও ভোটার উপস্থিতি একেবারে কম নয়।

সোমবার সচিবালয়ের নিজ মন্ত্রণালয়ে সাম্প্রতিক ইস্যু নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন ।

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের করা মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার মাহবুব সাহেব নির্বাচন কমিশনের বাইরে গিয়ে একজন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে তার ব্যক্তিগত মত দিতে পারেন কি না এটাই আমার প্রশ্ন।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এবার উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৪০ শতাংশের বেশি। আমি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলেছি তারা এটা বলেছে। বিএনপি অংশ নিলে নিশ্চয়ই আরও বেশি ভোটার উপস্থিতি হতো। তবে বিএনপি যেভাবে নির্বাচন থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে তাতে তাদের রাজনীতি থেকে একেবারেই পালাতে হয় কি না তা নিয়ে আমার শঙ্কা হচ্ছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি মির্জা ফখরুল ইসলাম (বিএনপি মহাসচিব) বলেছেন, সরকার নাকি বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্ট ভাঙার চেষ্টা করছে। আসলে ঐক্যফ্রন্ট হলো তেল এবং পানির মিশ্রণের মতো। এটিকে ভাঙার কোনো প্রয়োজন এবং উদ্যোগ কোনোটারই প্রয়োজন নেই।

আমরা চাই, বিএনপি টিকে থাকুক এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক। কিন্তু তারা টিকে থাকার মতো কাজ করছে না।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপির মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়ার সামর্থ্যের অভাব রয়েছে, তারা নির্বাচনে অংশ নিয়েও কিছুটা নির্বাচনে অংশ না নিয়ে পালিয়ে গেছে জাতীয় নির্বাচন থেকে। এই পরিস্থিতি বিএনপিকে দুর্বল করে ফেলছে এবং জনগণ থেকে আলাদা করে ফেলছে। তাদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা এক সময় গণমুখী দল ছিল, এখন তারা কি গণমুখী দল থাকবে নাকি তারা গণবিচ্ছিন্ন দল হয়ে থাকবে।

চট্টগ্রামের পটিয়ায় নির্বাচন বন্ধ করে দেয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন- দেখুন, পশ্চিম বাংলায় ৩০ শতাংশ স্থানীয় প্রতিনিধি বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছে। এটা কোনো সংকট নয়।

১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে ভোটার ছিল ৩৭ শতাংশের বেশি। সেটি বাঙালি জাতির জন্য টার্নিং পয়েন্ট ছিল। বিএনপি আসলে আরও ভালো ভোটার উপস্থিতি হতো। তবে এখনও যা হয়েছে সন্তোষজনক। প্রথম ধাপে ৪৩ শতাংশ, দ্বিতীয় ধাপে ৪১ শতাংশ হয়েছে। এবারেও ৪০ শতাংশের উপরে ভোট পড়েছে।