আওয়ামী লীগ মানুষ হত্যার রাজনীতি করে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২:৪৪ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, একাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ মানুষ হত্যার রাজনীতি করে না, প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসীও নয়। আওয়ামী লীগ যদি প্রতিহিংসার রাজনীতি করতো তাহলে এদেশে বিএনপির অস্তিত্ব থাকতো না।

 

বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দুঃশাসন এবং আন্দোলনের নামে অগ্নিসন্ত্রাস ও পুড়িয়ে মানুষ হত্যার কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সরকারের সময় তাদের হাতে আওয়ামী লীগ যে পরিমাণ হত্যা, নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছে তা আর কেউ হয়নি। এদেশে জঙ্গি সৃষ্টি, অগ্নিসন্ত্রাস, বোমা হামলা, মানি লন্ডারিং, এতিমের টাকা আত্মসাতসহ হেন অপকর্ম নেই যে খালেদা জিয়া, তার দুই ছেলে এবং তার দলের নেতারা করেননি।

বিএনপির সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার প্রশ্নের লিখিত জবাবে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

 

তিনি আরো বলেন, সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। যার অন্যতম কাজ ও দায়িত্ব হচ্ছে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাজের সমন্বয় করা। মন্ত্রীদের কাজের তদারকি করা। জনগণ তাকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন তাদের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য। আরাম-আয়েসের জন্য প্রধানমন্ত্রীত্ব গ্রহণ করিনি।

এর আগে রুহিন ফারহানার প্রশ্ন ছিল- দেশে বর্তমানে মানুষ হত্যা হতে মশা মারা পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার প্রয়োজন হয়।

এমন প্রশ্নের তীব্র সমালোচনা করে লিখিত জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি (রুমিন) একটি অনাকাঙ্ক্ষিত, অসংসদীয় ও অবান্তর প্রশ্ন এনেছেন। তিনি মানুষ হত্যা আর মশা মারাকে একই সমতলে নিয়ে এসেছেন। সংসদ সদস্যের নেত্রী খালেদা জিয়ার মত দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঘুমিয়ে কাটালেই কি প্রশ্নকারী খুশী হতেন? তিনি বলেন, রাষ্ট্র একটি যন্ত্রের মতন। এই যন্ত্রের বিভিন্ন কল-কব্জা যখন সমন্বিতভাবে কাজ করে, তখনই রাষ্ট্র ভাল থাকে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে কারণ রাষ্ট্রযন্ত্র ভালভাবে কাজ করছে।