কুমিল্লার মুরাদনগরে সাইদুর হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ফুল মিয়াকে হকার সেজে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ সময় নিহতের ভাই মোবারক হোসেনকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সন্ত্রাসীরা। পরে এ ঘটনায় জড়িত ১২ জনের নামে মামলা করে ভুক্তভোগী পরিবার।
হত্যাকাণ্ডের পর আত্মগোপন করে আসামিরা। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাঙ্গরা বাজার থানার চৌকস এসআই নুরুল আলম দুদিন এনজিও কর্মী সেজে মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী থানা এলাকায় অবস্থান করেন। এ সময় অল্পের জন্য পালিয়ে যায় একাধিক ডাকাতি ও খুনের প্রধান এ আসামি ফুলমিয়া।
এরপর এসআই নুরুল শুক্রবার সিলেট থেকে খবর পান আসামি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে অবস্থান করছে। অপেক্ষা না করে ফোর্স নিয়ে এসআই নুরুল আলম রওনা হন কুমিল্লায়। ২৬ এপ্রিল বিকালে কুমিল্লা ইপিজেড এলাকা থেকে অভিনব কায়দায় অভিযানে নামে পুলিশ।
হাল ছাড়তে নারাজ এই সাহসী ও দক্ষ অফিসার লেবাস বদল করে ধরেন হকারের সাজ। হকার সেজে সহযোগী ফোর্স নিয়ে সক্ষম হন খুনিকে গ্রেফতার করতে।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ফুলমিয়ার বিরুদ্ধে খুন ও ডাকাতিসহ ৭টি মামলা রয়েছে। সে দির্ঘদিন পলাতক ছিল। তাকে গ্রেফতার করতে বিগত সময়ে পুলিশ বিভিন্ন জেলায় অভিযান পরিচালনা করেছে। সর্বশেষ হবিগঞ্জ জেলায় অভিযান পরিচালনা করে। বারবার সিম পরিবর্তন করার কারণে তার ব্যবহৃত মোবাইলের আইএমই নম্বর ট্র্যাক করে কুমিল্লা ইপিজেড এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
