স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে র‌্যাব-১৩-এর গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত জাকির হোসেন (২৭) নামে এক র‌্যাব সদস্য গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

শনিবার রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রশীদ আত্মহননের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, রংপুর র‌্যাব-১৩ গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত র‌্যাব সদস্য জাকির হোসেন রংপুর নগরীর কলেজ রোড হাবিবনগর এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে স্ত্রীসহ বসবাস করতেন। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে র‌্যাব সদস্য জাকির হোসেনের সঙ্গে তার স্ত্রীর বাকবিতণ্ডা হয়।

এ ঘটনায় তার মামাশ্বশুর বাসায় এসে জাকির হোসেনের স্ত্রীকে নিয়ে তাদের বাড়িতে চলে যায়। স্ত্রী বাসা থেকে চলে যাওয়ার পর তিনি হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। রাতে স্ত্রীর মোবাইল ফোনে আজ থেকে কোনো কথা হবে না বলে ম্যাসেজ দেন। এ ছাড়াও ডায়রিতে কিছু কথা লিখে রাতেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তবে ডায়রিতে কি লেখা ছিল তা বলতে পুলিশ অস্বীকৃতি জানায়।

বাসার মালিক হাফিজুর রহমান জানান, ৬ মাস আগে তারা বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। সকাল পর্যন্ত বাসায় কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে এবং ঘরের দরজা বন্ধ পাওয়ায় পুলিশকে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রশীদ পুলিশ ফোর্সসহ বাসায় এসে দরজা ভেঙে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় র‌্যাব সদস্য জাকির হোসেনের লাশ উদ্ধার করেন।

মৃত জাকির হোসেনের বাড়ি জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার মূলগ্রামে, তার বাবার নাম রফিকুল আলম বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে আরপিএমপি কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রশিদ জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে জাকির হোসেনের বাবার বাড়িতে খবর পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর তার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এ দিকে মৃত র‌্যাব সদস্য জাকির হোসেনের স্ত্রীর নাম ও ঠিকানা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে চায়নি। তবে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন যার মাধ্যমে স্ত্রীর কাছে সর্বশেষ ম্যাসেজ পাঠানো হয়েছে তা উদ্ধার এবং তার লেখা ডায়রিসহ আরও কিছু মালামাল আলামত হিসেবে নেয়া হয়েছে বলে ওসি জানান।

এ ব্যাপারে র‌্যাব-১৩ রংপুরের সহকারী পুলিশ সুপার মিডিয়া ছিদ্দিক আহাম্মেদ জানান, বিষয়টি আমরা পরে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাব।