বগুড়া (শিবগঞ্জ) প্রতিনিধি: বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পিরব ইউনিয়নের খরকোনা গ্রামের গোলাম মোস্তফার কন্যা মোছাঃ রাজিয়া খাতুনের গত তিনমাস পৃর্বে একই উপজেলার মাঝিহট্ট ইউপির হাসপাতাল পাড়া গ্রামের জহরুল এর পুত্র জিয়ারুল এর সাথে বিবাহ হয়।
জানা যায়া, তাদের তিন মাসের এই নতুন দাম্পত্য ভালই সুখে কাটছিল জহরুলের।
কিন্তু স্ত্রী রাজিয়া স্বস্তিতে থাকতে পারছিল না।

সংসারে অসুখী রাজিয়া তার পৃর্ব প্রেমিকের সঙ্গে গোপন সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকে, সাদাসিধে জিয়ারুল খুব সংসারী মানুষ হওয়ার কারনে তার স্ত্রীর পরকীয়া বুঝতে পারেনা।
কিন্তু সহসা বাড়িতে এসে দেখতে পায় স্ত্রীর পরকীয়ার লাইভ দৃশ্য।
স্ত্রী রাজিয়া সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলে প্রেমিক সাজু মিয়া কে। কৌশলী রাজিয়া তার প্রাণ ভোমরাকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে।
জানাজানি হলে স্থানীয় চেয়ারম্যান সালিশের মাধ্যমে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে রাজিয়াকে তার বাবার হেফাজতে দেয়।

এর কয়েকদিন পর রাজিয়ার বাবা নিজ বাড়ি পিরব ইউপির খরকোনা গ্রামে সাজুর নামে সালিশ ডাকে।
সালিশে স্থানীয় দুইজন ইউপি সদস্য সাজু মিয়াকে অপরাধী সাব্যস্ত করে এবং শারীরিক শায়েস্তা সহ নাকে খত দেওয়ায় এবং সঙ্গে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে। উল্লেখ্য যে এক সন্তানের জনক প্রেমিক সাজু মিয়া খরকোনা গ্রামের পাঞ্জাব মিয়ার ছেলে। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করছে।