লক্ষ্মীপুরে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের মারধর, আ’লীগ অফিস ভাঙচুর

প্রকাশিত: ১:১১ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৯, ২০১৯
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের খাসেরহাট বাজারে আওয়ামী লীগ অফিসে ভাঙচুর। ছবি-টাইমস বিডি

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে চারজন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউপির খাসেরহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে হামলার ঘটনার পর খাসেরহাট বাজারে আওয়ামী লীগ অফিসে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি, চেয়ার ও টেবিল ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে কে বা কারা ভাঙচুর করেছে তা এখনও জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাস্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদারকে (মোটরসাইকেল) হারিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রার্থী অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ জয়লাভ করেন।

বৃহস্পতিবার রাত ৮টার সময় খাসেরহাট বাজারের পশ্চিম পাশ দিয়ে পরাজিত প্রার্থী আলতাফ মাস্টারের অনুসারী জেলা মৎসজীবী সমিতির সভাপতি মোস্তফা বেপারি, আওয়ামী লীগকর্মী আবু সুফিয়ান ও মনোয়ার হোসেন একসঙ্গে হেঁটে বাড়ি যাচ্ছিলেন।

এ সময় বিজয়ী প্রার্থীর (নৌকা) সমর্থকরা হামলা করে পালিয়ে যান। পরে আহত মোস্তফা বেপারিসহ চারজনকে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়।

পরে খবর পেয়ে আহত মোস্তফা বেপারির স্বজনরা দলবলসহ বাজারে এলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

এদিকে হামলার এ ঘটনার পর কে বা কারা খাসেরহাট বাজারে আওয়ামী লীগের কার্যালয় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি, চেয়ার ও টেবিল ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়।

উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ওসমান গনি যুগান্তরকে বলেন, দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে এশার নামাজ পড়তে মসজিদে যাই। এসে দেখি চেয়ার-টেবিলসহ বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করা হয়েছে। বাজারের লোকজন বলেছেন- পরাজিত প্রার্থী আলতাফ মাস্টারের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে কারা ভাঙচুর করেছে, তাদের নাম বলতে পারেনি কেউ।

উত্তর চরবংশী ইউপি চেয়ারম্যান মো. হোসেন বলেন, আমার বড় ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাস্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদারের পক্ষে জেলা মৎসজীবী সমিতির নেতা মোস্তফা বেপারিকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে আহত করে নৌকার প্রার্থীর সমর্থক খলিল দেওয়ানের ছেলে মো. হোসেনের নেতৃত্বে ৬-৭ জন। তারাই আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করে আমাদের লোকদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এ ব্যাপারে রায়পুর থানার ওসি একেএম আজিজুর রহমান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। উভয়পক্ষের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় কোনো পক্ষ মামলা করেনি বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।