প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা বলেছেন, বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যতটুকু সম্ভব ইভিএম ব্যবহার করা হবে। আর ভবিষ্যতে সব নির্বাচনই ইভিএমে করা হবে। তার জন্য আইনগত কাঠামো তৈরি হয়েছে।
তিনি বুধবার সকালে বগুড়া জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিশেষ অতিথি নির্বাচন কমিশন সচিব মো. আলমগীর, বগুড়ার জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ, পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা, রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম, জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মাহবুব আলম শাহ্, সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার এএসএম জাকির হোসেন ছাড়াও সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, আনসারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি কেএম নুরুল হুদা বলেন, ইভিএম নতুন পদ্ধতি হলেও এতে ভোট প্রদান খুব সহজ। স্বচ্ছভাবে ভোট দেয়া যায়। ভোট শেষে এক দেড়-ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল দেয়া সম্ভব। আগের মতো রাত জেগে ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।
তিনি বলেন, বগুড়ায় অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে না। তবে বুথগুলোতে ইভিএমের টেকনিক্যাল পার্সন হিসেবে সেনা সদস্যরা থাকবেন। তারা শুধু ইভিএমে কোনো সমস্যা হলে তা দেখবেন।
বগুড়া-৬ (সদর) শূন্য আসনে উপনির্বাচন প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, একটি আসনে নির্বাচন হলেও এটিকে সমান গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বগুড়ার নির্বাচনী পরিবেশ অনুকূলে রয়েছে এবং সার্বিক পরিস্থিতি ভালো উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানকার নির্বাচনী পরিবেশ এবং প্রার্থীদের আচরণ বিধি মেনে চলার প্রবণতা অনেক ভালো।
সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার সব কৃতিত্ব ভোটার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, তাদের কর্মী ও সমর্থকদের। প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকসহ ভোটররা যদি নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে চলেন, তাহলে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ভার অনেক কমে যায়। সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন হবে বলে আমরা আশা করছি।
১৮ জুন পঞ্চম ধাপে ২০ উপজেলায় নির্বাচন প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, সিরাজগঞ্জে সামান্য সমস্যা ছাড়া সব উপজেলায় ভালো ভোট হয়েছে। রিটার্নিং অফিসার মাহবুব আলম শাহ্ তার স্বাগত বক্তব্যে জানান, ২৪ জুন বগুড়া-৬ (সদর) শূন্য আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে। এজন্য নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত সব কর্মকর্তাকে এরই মধ্যে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ভোটারদেরও ইভিএমে ভোট প্রদান পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ২২ জুন প্রতিটি কেন্দ্রে ইভিএমে ডামি ভোট গ্রহণ করা হবে। ১৪১টি কেন্দ্রের ৯৬৫ বুথে ভোট গ্রহণ করা হবে।
প্রতিটি কেন্দ্রে একটি অতিরিক্ত ইভিএম মেশিন থাকবে। ১৪১ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৯৬৫ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসারসহ মোট তিন হাজার ৩৬ জনবল থাকবে। নির্বাচনে রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ কংগ্রেস এবং দু’জন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এছাড়া সিইসি বিকালে বগুড়া জেলা পরিষদ মিলনায়তনে নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসারদের বিফ্রিং ও সন্ধ্যায় বগুড়া সার্কিট হাউসে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
