বগুড়া ঠনঠনিয়া বাসস্ট্যান্ড বন্ধ ঘোষণা

মিরাজুল ইসলাম মিরাজুল ইসলাম

জেলা প্রতিনিধি, বগুড়া

প্রকাশিত: ৭:০৬ অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২০

সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বগুড়া জেলায় বাড়ছে কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। সময় সংকটে সংক্রমণ প্রতিরোধে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সুপারিশের ভিত্তিতে সদরের ৯ টি এলাকাকে রেড জোনের আওয়তায় আনা হয়। জেলা প্রসাসনের নজরদারিতে রাখা হচ্ছে চিহ্নিত এলাকাগুলো।  তার ধারাবাহিকতায় রেড জোন ঘোষিত এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।

বগুড়ার ঠনঠনিয়া বাস্ট্যান্ড রেড জোন এলাকায় পড়ায় সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু বাসগুলো রেড জোনের বাইরে স্বাভাবিক কাজকর্ম পরিচালনা করতে পারবে । আন্তজেলা বাস মালিক সমিতির সহযোগিতায় দড়ি দিয়ে প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেওয়া হয় যাতে বাস পার্কিং বা যাত্রী উঠানামা না করতে পারে। উল্লেখ যে ঠনঠনিয়া  থেকে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ছাড়াও বগুড়া-জয়পুরহাট, বগুড়া-রংপুর, বগুড়া-নওগাঁ, বগুড়া-গাইবান্ধা, বগুড়া-দিনাজপুর, বগুড়া-নাটোর, বগুড়া-রাজশাহী, বগুড়া-সিরাজগঞ্জ-নগরবাড়ি, বগুড়া -ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল এবং উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের সড়কপথে সব ধরনের বাস চলাচল করে থাকে। রেড জোনে অবস্থিত ভাসমান সিএনজি স্টান্ড সরিয়ে দেওয়া হয় ও জরিমানা করা হয়।

আজ সকাল ১১ টায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জি.এম.­ রাশেদুল ইসলাম  এর নেতৃত্বে পৌরসভার জলেশ্বরীতলা, ঠনঠনিয়া, মালতিনগর, সূত্রাপুর এলাকায়

মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন। রেড জোন এলাকায় অভিযান চালিয়ে, নির্দেশনা উপেক্ষা করে দোকানপাট খোলা রাখায় এবং স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায় সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ এবং দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারা পৃথক ৮ টি মামলায় ৪৩০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

বৃহস্পতিবার  সকাল ১০.৩০ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত পৌর শহরের রেড জোন ঘোষিত এলাকায়  অভিযান পরিচালিত হয়।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জি.এম. রাশেদুল ইসলাম বলেন, জলেশ্বরীতলা, ঠনঠনিয়া, মালতিনগর রেড জোনে কিছু দোকান খোলা পাওয়া যায় যা জরিমানা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়াও রেড জোন সূত্রাপুর দিয়ে বিকল্প পথ হিসাবে ফাঁকি দিয়ে আন্তসিটি বাস চলাচল করতে দেখা যায়। রেড জোন এলাকায় বাস চলাচল করা বন্ধ করা হয়। ইচ্ছাকৃত মাস্ক ব্যবহার না করা ও স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ না করায় বগুড়া শহরের বিভিন্ন  জায়গায় জনগণকে সচেতন করা হয় ও জরিমানা করা হয়। এসময় যাদের মাস্ক ছিল না তাদের কে মাস্ক উপহার দেওয়া হয়।