নদীতে মাছ ধরা নিয়ে আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১২

প্রকাশিত: ৭:৩৫ অপরাহ্ণ, মে ১১, ২০২০

শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার কুচাইপট্টি ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতা খোকা ব্যাপারীর বাড়িতে হামলা চলিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ হামলায় উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

স্থানীয়রা জানায়, নদীতে মাছ ধরা নিয়ে কুচাইপট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোকা ব্যাপারী ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজ সরদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। রোববার (১০ মে) সন্ধ্যায় কুচাইপট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজ সরদারের নেতৃত্বে একদল লোক খোকা ব্যাপারীর বাড়িতে হামলা চালালে সংঘর্ষ বাধে। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় খোকা ব্যাপারীর সমর্থক মাহবুব পাটোয়ারী, বাবুল হাওলাদার ও জাকু ফকিরসহ আটজন আহত হন। মোস্তাফিজ সরদারের চার সমর্থক আহত হন। আহতদের ডামুড্যা উপজেলা ও গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

 

কুচাইপট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোকা ব্যাপারী বলেন, আমার ভাই কুচাইপট্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। মোস্তাফিজ সরদার আমার ভাইয়ের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই নানাভাবে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। রোববার পরিকল্পিতভাবে দেড় দুই শাতাধিক সন্ত্রাসী নিয়ে আমাদের পুরান বাড়িতে হামলা চালান তিনি। এ হামলায় আমাদের ৭-৮ জন আহত হয়েছেন। গোসাইরহাট থানায় ফোন দিলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজ সরদার বলেন, নদীতে মাছ ধরা জেলেদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় খোকা ব্যাপারীর সন্ত্রাসীরা আমার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে ৩-৪ জন আহত হয়েছেন। তাদের গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

গোসাইরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা সোহেব আলী বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও নদীতে মাছ ধরা নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় এখানও মামলা হয়নি।