বগুড়ায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই

মিরাজুল ইসলাম মিরাজুল ইসলাম

জেলা প্রতিনিধি, বগুড়া

প্রকাশিত: ৪:১৭ অপরাহ্ণ, মে ১১, ২০২০

বগুড়ার কাহালু উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়নের ভোলতা, কাজিপাড়া, শেখাহার ও বীরকেদার আম বাগানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে লাচ্ছা সেমাই তৈরী করে বাজারজাত করছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা।

স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি এই লাচ্ছা সেমাই গুলো ট্রাক বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যমতে ভোলতা ৫ টি, শেখাহারে ২ টি, কাজিপাড়ায় ১ টি, বীরকেদার আম বাগানে ১ অস্থায়ী লাচ্ছা সেমাই কারখানা গড়ে উঠে রমজানের আগে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই গড়ে ওঠা সেমাই কারখানা গুলোর বেশীরভাগই বিএসটিআই এর অনুমোদন নেয়।

এবিষয়ে কাহালু হাসপাতালের সেনেটারী ইনেসপেক্টর আঃ সালাম জানান, যারা সেমাই তৈরি করছে তারা সবাই আমার মাধ্যমে সিভিল সার্জনের কাছ থেকে লাইসেন্স নিয়েছে। বিএসটিআই এর লাইসেন্স বিষয়ে তিনি ভাই ভাই লাচ্ছা সেমাইসহ তিনটি কারখানার তথ্য দিয়েছেন। বাঁকী গুলো সিভিল সার্জন অফিস থেকে লাইসেন্স নিয়েছে। সেমাইয়ের মান বিষয়ে তিনি কারখানা মালিকের পক্ষেই সাফাই গাইলেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ যাকারিয়া রানা জানান, সিভিল সার্জন অফিস থেকে আমার জানামতে কোন লাইসেন্স দেওয়া হয় না। সেনেটারী ইনেসপেক্টরের কাজ খাদ্য-সামগ্রীর মান দেখা। এদিকে কাজিপাড়ায় গড়ে উঠা হাছেনের কারখানায় গিয়ে লক্ষ্য করা গেছে সেখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই। কমপক্ষে সেখানে ২৫ জনের মত শ্রমিক কাজ করছে। করোনা পরিস্থিতিতে তাদের শরীরে নেই প্রোট্রেকশন। শ্রমিকদের শরীর থেকে ঘাম ঝড়ে সেমাই ভাজার তৈল ও সেমাইয়ে পড়ছে। ভোলতা গ্রামের ভিতরে আমিনুরের কারখানায় লক্ষ করা গেছে কারো হাতে কোন গ্লোভস নেই । সেই হাতেই তৈরি করা হচ্ছে সেমাই। ময়লা তৈলে ভাঁজা হচ্ছে সেমাই।

সচেতন নাগরিক আমিনুর জানান, এভাবেই সবাই সেমাই তৈরী করে। একাধিক সুত্রে জানা গেছে রাত ৮টা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত নোংড়া পরিবেশে পা দিয়ে ময়দা খুচিয়ে খুচিয়ে সেমাই তৈরীর জন্য প্র¯ু‘ত করা হয়। স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁিক এই সেমাই গুলো ট্রাকে-ট্রাকে নিয়ে গিয়ে পাকেট করে বাজারজাত করা হয়। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসনের লোকজন ব্যস্ত থাকার এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ী মানহীন লাচ্ছা সেমাই প্রতিনিয়িত বাজারজাত করছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুদুর রহমান জানান, ইতিপূর্বে সেমাই কারখানায় অভিযান চালিয়ে ১ টি কারখানার ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আরো ২/১ টি করাখানার জরিমানা করা হয়েছে। আমার এখানে এসিল্যান্ড নেই সব জায়গায় কাজ করতে হচ্ছে। তারপরে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।