দূতাবাসে প্রবাসী লাঞ্ছনাকারী স্টাফ কে ক্ষমা করা হবে না: সুস্ময় শরিফ

প্রকাশিত: ৮:৪০ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯

বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের হয়রাণী, অপমান-অপদস্থ এমনকি নির্যাতনের ঘটনাও ঘটছে প্রতিনিয়ত। অতিরিক্ত টাকা দিয়েও কাঙ্খিত সেবা পেতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় প্রবাসিদের। ‘দূতাবাসগুলো এখন দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে’ বলে উল্লেখ করেছেন ফ্রান্স প্রবাসী ও জনপ্রিয় অভিনেতা সুস্ময় শরিফ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা যারা সচল রাখে সেই রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের যারা হয়রানি করে, লাঞ্ছিত করে, সেইসব দূর্ব্যবহারকারীদের কাউকে ক্ষমা করা হবেনা। গতকাল তিনি তার ফেইসবুক লাইভে এসব কথা বলেন। এবং দূতাবাস কর্তৃক প্রবাসীদের হয়রনি বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

 

প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর মিসিলায় স্থানান্তরিত নতুন দূতাবাসের গার্ড শাহিন কবিরের অনৈতিক আচরণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

 

ভিডিওতে দেখা যায়, গরমে অতিষ্ট হয়ে দূতাবাসের ভেতরে মসজিদে পানি খেতে যাওয়ায় একজন কুয়েত প্রবাসীর কাগজপত্র ও মোবাইল কেড়ে নেয়া হয়। শুধু তাই নয়, ধাক্কা দিয়ে দূতাবাস থেকে বের করে দেয়া ও গায়ে হাত তোলার চেষ্টা করে দূতাবাসের গার্ড শাহিন কবির।

পরে আবার তাকে দূতাবাসে এক কর্মকর্তার কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে কুয়েত প্রবাসীদের মাঝে এটি এখন টক অফ দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে।

প্রশ্ন উঠেছে, একজন চতুর্থ শ্র্রেণির কর্মচারী হয়ে একজন প্রবাসীর সঙ্গে এই ধরণের অনৈতিক আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এই গার্ডের সঙ্গে মিলে আরেকজন ক্লিনার জাহিদও ওই সময় প্রবাসীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।

প্রবাসীকে থাপ্পড় দিয়ে বের করে দেয়ার কথাও বলে তারা। নিজ দেশের দূতাবাসে এ ধরনের আচরণে হতবাক প্রবাসীরা।

এর আগেও খালেদিয়া এলাকায় দূতাবাস থাকাকালীন এই একই গার্ডের অনিয়মের ভিডিও এবং দূতাবাসের অন্য আরেকজন স্টাফ জসিমের অনৈতিক আচরণের ভিডিও ভাইরাল হয় ফেসবুকে।

কিন্তু প্রবাসীদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া বারবার এই ধরণের অনিয়ম ও অনৈতিক আচরণের কোনো বিচার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ কুয়েত প্রবাসীরা। বারবার এই ধরনের আচরণ করেও কোনো বিচার না হওয়ার কারণেই প্রবাসীদের সঙ্গে এসব আচরণ করার সাহস পায় বলে অভিযোগ প্রবাসীদের।

এসব ঘটনা গুরুত্বসহ তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান প্রবাসীরা।

নাম প্রকাশে একাধিক প্রবাসীরা অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন সময় প্রবাসী দূতাবাসে স্টাফদের দ্বারা অনৈতিক আচরণের শিকার হয় তারা। তবে ঝামেলা এড়াতে তারা অভিযোগ করতে সাহস না পেয়ে মনের দুঃখ মনে নিয়েই নিজের কাজ শেষ করে ফিরে যায় কর্মস্থলে।

এদিকে দূতালয় প্রধান মো. আনিসুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপরোক্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দূতালয় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

পাশাপাশি দূতাবাস নতুন স্থানে হওয়ায় যথাযথ তদন্তে কিছুটা সময় লাগছে। তাই এই সময় বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বজায় রাখতে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।