বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থানে এক বিকাশ প্রতারক কে আটক করে শিবগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে দেয়া হয়েছে। আটককৃত প্রতারক বগুড়ার গাবতলী উপজেলার কাগইল গ্রামের মহির উদ্দিনের পুত্র রাব্বী হাসান (২৬)।
সে মহাস্থানের ১২টি বিকাশের দোকান থেকে প্রতারনা করে প্রায় ৩০হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। মহাস্থান বিকাশ ব্যবসায়ী সুমাইয়া টেলিকমের স্বত্বাধিকারী সাইফুল ইসলাম জানান, মাসখানেক পূর্বে এই প্রতারক আমার এখান থেকে ১হাজার টাকা বিকাশ প্রতারণা করে নিয়েছে।
একই ভাবে প্রতারণা করে ১২হাজার টাকা নিয়েছে মহাস্থান বাসষ্ট্যাণ্ড বিকাশ ব্যবসায়ী মোরশেদ আলমের কাছ থেকে। তার প্রতারণার কৌশল, বিকাশের দোকানে গিয়ে বলে ভাই আমার ৫০হাজার টাকা বিকাশে আসবে, আপনার নাম্বার দিন। এই বলে একটু অপেক্ষা করে।
একটু পরে বলে ভাই আমার তো ৫০হাজার টাকা আসতেছে, আপনি আমার ছোট ভাই এর নাম্বারে ২হাজার টাকা বিকাশ দিন আমি এখানেই আছি। তারপর প্রতারক তারই অন্য নাম্বারে ২হাজার টাকা কৌশলে বিকাশ নিয়ে ওখানেই বসে থাকে। একপর্যায়ে দোকানে ভীড় বা দোকানদার অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকলে প্রতারক কৌশলে পালিয়ে যায়।
কখনো কখনো বিকাশ সার্ভিস পয়েন্টের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে গ্রহক সেবার নামে গোপন পিনকোর্ড জেনে নিয়ে নাম্বার হ্যাক করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও তার বিরুদ্ধে পাওয়া গেছে। এভাবে মহাস্থানে একাধিক বিকাশের দোকানে বিভিন্ন কৌশল খাটিয়ে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই প্রতারক।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার দুপুর ১২টায় মহাস্থান ত্রী-মোহনী বন্দরে রাব্বী টেলিকমে প্রতারক বিকাশে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা বিকাশ চাইতে তার কথাবার্তায় সন্দেহ হলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাকে আটক করে। পরে খবর পেয়ে একে একে ছুটে আসেন প্রতারণার খপ্পরে পড়া ভুক্তভোগী মহাস্থানের বিকাশ ব্যবসায়ীরা। এরপর প্রতারক যে ২টি নাম্বারে বিকাশ গ্রহণ করত অভিযোগ বিকাশ ব্যবসায়ীদের সাথে প্রতারণা করা ২টি নাম্বার হুবহু বনে যায়।
এ বিষয়ে বিকাশ প্রতারক রাব্বীর সাথে কথা বললে সে জানায়, তালিকা করা বিকাশ ব্যবসায়ী যাদের নাম বলা হচ্ছে সবারই টাকা আমি প্রতারণা করে নিয়েছি। এটা আমার ভুল হয়েছে। আমার পরিবারের সাথে কথা বলে সবার টাকা ফেরত দিব। এবিষয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সাথে ফোনে কথা বললে তারা জানান, আমরা তার কোন দ্বায়ভার বা টাকা পরিশোধ করতে পারব না। সে ইতিপূর্বেও দেশের বিভিন্ন এলাকায় এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। পরে ব্যবসায়ীরা প্রতারক রাব্বী কে শিবগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করেন।