ঠাকুরগাঁওয়ে নাগর নদীতে হটাৎ কুমিরের ঝাঁক, আতঙ্কে এলাকাবাসি ও জেলেরা

মাহমুদ আহসান হাবিব মাহমুদ আহসান হাবিব

জেলা প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও

প্রকাশিত: ৮:১০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০২০

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর উপজেলার ভারত সীমান্ত সংগলœ নাগর নদীতে দেখা মিলেছে এক ঝাক কুমিরের ।

কুমির গুলো লম্বায় প্রায় ৬-৭ ফুট । ওজনে ৫০-৬০কেজি। কোনটি আবার আকারে ছোট । নদীতে কুমির দেখার পর প্রাণের ভয়ে মাছ ধরতে নদীতে নামছেন না স্থানীয় জেলেরা । অপরদিকে কুমির আতংকে ভুগছে গ্রামবাসিরা ।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকালে স্থানীয়রা নাগর নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে আকস্মিক দেখতে পায় একটি কুমির ভাসছে। পরে সেখানে তারা ছোট বড় মিলিয়ে আরো কয়েকটি কুমির দেকতে পেলে জেলেরা চিৎকার করলে এলাকার শত শত মানুষ সেখানে ছুটে যায়।

উত্তর নিটালডোবা গ্রামের লাবনী অক্তার নামে আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, তিনি দুর থেকে কুমিরের ছবি তুলেছেন । তবে অনেক মানুষের সমাগম দেখে মূহৃতের মধ্যেই সেগুলো পানিতে ডুব দিলে আর দেখা যায়নি । নদী সংলগ্ন গ্রীন ল্যান্ড টি কোম্পানির মালিক ফয়জুর রহমান ও পাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান জানান, নদীতে কুমির রয়েছে, তবে নিদিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না কোথায় অবস্থান করছে সেগুলো । ৬-৭ দিন আগে হরিপুর উপজেলার যাদুরাণী এলাকায় একই নদীতে কুমির দেখতে পায় স্থানীয়রা ।

বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)এর ডাবরী বিওপির কম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমান বলেন পাঁচ-ছয়টা কুমিরের দেখা মিলেছে । তারা এব্যপারে স্থানীয় জেলেদের নদীতে নামতে সর্তক করেছেন। এ বছর বন্যায় এলাকা প্লাবিত হয় এবং বন্যার পানিতে কুমির গুলো ভারত থেকে এই নদীতে ঢুকে পড়েছে বলে এ মন্তব্য করেন গেদুরা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ। তবে তিনি বলেন এখন নদীর পানি কমে যাওয়ায় কুমির গুলো নিরাপদ আশ্রয় ও খাবারের জন্য ছুটাছুটি করছে । বরুয়াল গ্রামের আব্দুল মতিন বলেন এলাকার ৫০টি পরিবার নদীতে মাছ ধরে সংসার চালায় । কুমির দেখে এখন তারা নদীতে নামতে সাহস পাচ্ছে না ।

এছাড়া কৃষকরা নদী ওপারে গিয়ে ক্ষেত খামারের পরি”র্যা করতে এবং গবাদি পশুকে ঘাস খাওয়াতে যেতে ভয় পাচ্ছে।

ঠাকুরগাঁও বনবিভাগের কর্মকর্তা হরিপদ দেবনাথ বলেন ৩ দিন আগে কুমিরের দেখা মিললেও এখন দেখা মিলছে না । আমরা তাদের ট্রেস করার চেষ্টা করছি। ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। যেহেতু কুমিরগুলো বন্য প্রাণী এবং আমাদের এ অঞ্চলের না, তাই এমন কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে এলাকাবাসীও নিরাপদে থাকে এবং কুমিরগুলোও নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করা যায়।