কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতাল, দু’টি প্যাথলজি সেন্টার এবং ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ফার্মেসি লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। পাশপাশি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের শুধু জরুরি বিভাগ ও প্রসূতি বিভাগ সীমিত আকারে খোলা রাখা হয়েছে।

রোববার রাত ১০টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো আবুল মনসুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২৮ বছর বয়সী এক চিকিৎসকের করোনা পজেটিভ এসেছে। ফলে তার সংর্স্পশে আসা টেকনাফ বেসরকারি হাসপাতাল মেরিনসিটি, বাণিজ্যিক ব্যাংক সাউথইস্ট লিমিটেডের টেকনাফ শাখা, হাসপাতালের সামনে দু’টি প্যাথলজি সেন্টারসহ বেশ কয়েকটি ফার্মেসি লকডাউন করা হয়েছে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল জানান, তার হাসপাতালের একজন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাই তার সংর্স্পশে আসা বেসরকারি হাসপাতাল মেরিনসিটি, ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ফার্মেসি লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়া আক্রান্ত চিকিৎসক হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে।

তিনি আরও জানান, টেকনাফে করোনায় আক্রান্ত স্থানীয় তিন ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেওয়া চিকিৎসক-নার্সসহ ৫৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছিল। রোববার দুপুরে তিনি রিপোর্ট হাতে পান। রিপোর্টে ওই চিকিৎসকের কোভিড-১৯ পজেটিভ এসেছে।

করোনা সন্দেহে উপজেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট ২০৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। তাদের মধ্যে এক চিকিৎসকসহ ৪ জনের পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ আসে।