ইউপি মেম্বারের ঘরের বারান্দা থেকে সরকারি চাল-টিসিবির পণ্য উদ্ধার

প্রকাশিত: ১:২৮ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১, ২০২২

মুলাদী উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. রাশেদ বেপারীর বসতঘরের পেছন থেকে হতদরিদ্র জেলেদের জন্য সরকারি বরাদ্দের ২০ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে বসতঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে সয়াবিন তেলসহ টিসিবির বিভিন্ন পণ্য।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) বিকেলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা পুলিশ নিয়ে মো. রাশেদ বেপারীর চরকালেখান ইউনিয়নের কায়েতমারা গ্রামের বসতঘর থেকে সরকারি চালসহ এসব পণ্যদ্রব্য উদ্ধার করেন।

রাশেদ বেপারীর ওই গ্রামের মৃত আ. রশিদ বেপারীর ছেলে।

চরকালেখান ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকজন জেলে জানান, চরকালেখান ইউনিয়ন পরিষদে গত দুদিন ধরে সরকারি প্রণোদনার জেলেদের চাল বিতরণ করা হচ্ছিল। তালিকাভুক্ত অনেক জেলে চাল না পেলেও ইউনিয়ন পরিষদের গুদামের চাল শেষ হয়ে যায়। এছাড়া তারা কয়েকজন জেলেকে রাশেদ বেপারীর বাড়িতে সরকারি চাল নিতে দেখেছেন।

সংবাদ পেয়ে বিকেলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুব্রত গোস্বামী পুলিশ নিয়ে অভিযানে যান। এসময় ইউপি মেম্বার রাশেদ বেপারীর ঘরের পেছনের বারান্দা থেকে সেলাই করা ১৩ বস্তা এবং সেলাইবিহীন ৭ থেকে ৮ বস্তা চাল জব্দ করেন।

ইউপি মেম্বারের ঘরের বারান্দা থেকে সরকারি চাল-টিসিবির পণ্য উদ্ধার

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুব্রত গোস্বামী বলেন, চালগুলো তালিকাভুক্ত জেলেদের মধ্যে বিতরণ না করে ইউপি মেম্বারের বাড়িতে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।

এ বিষয়ে ইউপি মেম্বার মো. রাশেদ বেপারী বলেন, কার্ডধারী জেলেদের মধ্যে বিতরণের জন্যই চালের বস্তাগুলো আমার ঘরে এনে রেখেছিলাম। একটু ব্যস্ত ছিলাম। তাই দুইদিনে বিতরণ করতে পারিনি। পরবর্তীতে সময়সুযোগ বুঝে ওই চাল বিতরণের ইচ্ছা ছিল।

মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাকসুদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার অফিস থেকে মামলার প্রস্ততি চলছে। মামলা দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর মোহাম্মদ হোসাইনী বলেন, বিষয়টি জানার পর উদ্ধার চাল জব্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।