আশুলিয়ায় পাওনা টাকা না দেয়ায় মা-মেয়েকে হাতুড়িপেটা

প্রকাশিত: ৩:২৭ অপরাহ্ণ, মে ৯, ২০১৯
আশুলিয়ায় হাতুড়িপেটায় আহত মা-মেয়ে। ছবি: সংগৃহীত


আশুলিয়ায় পাওনা টাকা দিতে না পারায় মা ও মেয়েকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে গফুর মণ্ডল নামে এক বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী খোরশেদা বেগমের স্বামী শফিকুল ইসলাম জানান, আশুলিয়ার পশ্চিম বাইপাইলের এসএ পরিবহন কুরিয়ার সার্ভিসসংলগ্ন এলাকায় গফুর মণ্ডলের বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন তিনি।

দারিদ্র্যতার কারণে নিজে গফুর মণ্ডলের গরুর খামার ও স্ত্রী খোরশেদা গার্মেন্টে কাজ নেন। প্রায় এক বছর আগে আলসার হওয়ার কারণে তার স্ত্রী চাকরি ছেড়ে দেন। এ সময় স্ত্রীর চিকিৎসা, সন্তানের লেখাপড়া ও সংসারের খরচের কারণে দিশাহারা হয়ে পড়েন তিনি।

 

উপায় না পেয়ে বাড়ির মালিক গফুর মণ্ডলের কাছে খামারে কাজ করে পরিশোধ করার শর্তে স্ত্রীর অপারেশনের জন্য ২০ হাজার টাকা ধার নেন তিনি।

বুধবার রাতে হঠাৎ বাড়ির মালিক পাওনা টাকার জন্য তাগাদা দেয়। এ সময় খোরশেদা বেগম তার কাছে আর কয়েকটি দিন সময় চান। গফুর মণ্ডল কোনো সময় দিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন।

একপর্যায়ে বাড়িওয়ালা খোরশেদা বেগমের ওপর চড়াও হন এবং মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। এতে গুরুতর জখম হন খোরশেদা বেগম। এ সময় খোরশেদার ১০ বছরের মেয়ে সবিতা তার মাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাকেও ব্যাপক মারধর করা হয়।

এতে শিশুটির হাত ভেঙে যায়। পরে স্থানীয়রা মা ও মেয়েকে গুরুতর আহতাবস্থায় সাভার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এ ঘটনার পর পরই রক্তাক্ত অবস্থায় স্ত্রী খোরশেদাকে নিয়ে থানায় অভিযোগ দিতে গেলে কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার বদরুজ্জামান তাদের আগে রোগী বাঁচাতে বলেন। পরে বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেন।

এ ব্যাপারে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমজাদুল হক বলেন, মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে খোরশেদা নামে এক নারী ও হাতে ব্যথা পেয়ে তার শিশুকন্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।