স্কুলছাত্রকে মাদকসেবন করাচ্ছেন ছাত্রলীগ নেতা!

প্রকাশিত: ১০:৩৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রকে মাদকসেবন করানোর অভিযোগে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

রাজশাহীর বাঘায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রকে মাদকসেবন করানোর অভিযোগে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

জানা গেছে, রাজশাহীর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন আলী ও তার সহযোগী নান্টু মরকুটি কিশোরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আজমল হোসেনকে প্রলোভন দেখিয়ে দেড় বছর ধরে মাসে দুই থেকে তিনবার মাদকসেবন করায়। ওই ছাত্র বিষয়টি প্রথমে তার পরিবারকে পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও এলাকাবাসীকে অবহিত করে।

তার পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা শিশুদের মাদকসেবনে আগ্রহী না করানোর জন্য নিষেধ করেন। এতে ছাত্রলীগ নেতা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই শিশুকে আরও মাদকসেবন করাতে উৎসাহ প্রদান করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়েছে।

এ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিশোরপুর গ্রামের ছাত্রের বাবা, চাচা, প্রতিবেশীরা জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন আলী ও তার সহযোগী নান্টুর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন।

ছাত্রলীগ নেতা সুজন আলীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ ও এলাকায় মানববন্ধন করার পর বিভিন্নভাবে বাদীকে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।

আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রের বাবা তাজমুল হোসেন, দাদা আবুল কালাম, চাচা আবদুর রশিদ, চাচাত ভাই তন্ময় হোসেন, মামাত ভাই জাহিদ হোসেন, মামা শামিম হোসেন, স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা শফিউর রহমান শিমুল প্রমুখ।

উল্লেখ্য, এ বিষয়ে ছাত্রের বাবা বাদী হয়ে ১৫ এপ্রিল বাঘা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়া ছাত্রের স্কুলের শিক্ষক, অভিভাবকরা ১৭ এপ্রিল কিশোরপুর বাজারে একটি মানববন্ধন করেন।

এ বিষয়ে রাজশাহীর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন আলী বলেন, আজমল হোসেন একজন উন্মাদ ছেলে। তার বিরুদ্ধে এলাকায় চুরির বিষয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে। তাকে ভালো করার জন্য মাঝেমধ্যে আমার মোটরসাইকেলে পেছনে করে ঘুরিয়েছিলাম। তবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় কিছু মানুষ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করছে শুনেছি।

এছাড়া ওই ছেলেকে তার বাবা প্রতিদিন বিড়ি কিনে দেয়। এখানে সেখানে ঘুরে বেড়ায় বলে তিনি জানান।

বাঘা থানার ওসি মহসীন আলী বলেন, সুজন আলীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে।