সোনারগাঁওয়ে সাংবাদিক পরিচয়ে তথ্য নিয়ে রাতে ডাকাতি!

প্রকাশিত: ৩:২৬ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৮, ২০১৯

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার একটি দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় ৭ জন ডাকাত দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। প্রত্যেকের মুখেই তাদের সর্দারের নাম পরিচয় উল্লেখ করা হয়েছে।

তাদের ৯ জন ডাকাতের সর্দার রূপগঞ্জ উপজেলার ফটো সাংবাদিক মোহাম্মদ হোসাইন। তার নির্দেশে দীর্ঘ দিন ধরেই জেলার বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি চলছে। ডাকাতি করা লুটের মালামাল দুই ভাগে ভাগ করে এক ভাগ নেয় সর্দার আর এক ভাগ নেয় দলের সকলে।

একইভাবে ১৬ জুন রাতে সোনারগাঁও উপজেলার সম্ভুপরা গ্রামের মুনজুর রহমানের বাড়িতে ডাকাতি করা হয়। লুটে নেয়া হয় নগদ টাকা স্বর্ণালংকারসহ ১৮ লাখ ৪৯ হাজার টাকার মালামাল।

এ মামলার তদন্তকারী অফিসার সোনারগাঁ থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, মোহাম্মদ হোসাইনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর বৃহস্পতিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আলমের আদালতে হাজির করা হলে সে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।

মোহাম্মদ হোসাইন রূপগঞ্জ উপজেলার বরপা আটিপাড়া এলাকার মৃত সিদ্দিক মিয়ার ছেলে।

সে দৈনিক দেশ পত্রিকার রূপগঞ্জ উপজেলার ফটো সংবাদিকের পরিচয় দিয়ে গলায় ক্যামেরা ঝুলিয়ে দিনের বেলায় বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ায় এবং ডাকাতি করার স্থান নির্ধারন করেন। এরপর গভীর রাতে গাড়িতে সাংবাদিক স্টিকার লাগিয়ে বিভিন্ন লোকজনের বাড়িতে হানা দেয়। লুটে নেয় সর্বস্ব।

এসআই আবুল কালাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের দলের একজনকে গ্রেফতার করি। এরপর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বেরিয়ে আসে সোনারগাঁসহ জেলার বিভিন্ন স্থানের দুর্ধর্ষ ডাকাতির রহস্য। তারপর একে একে ডাকাত সর্দার মোহাম্মদ হোসেনসহ গ্রেফতার করা হয় ৮ জনকে। অপর ডাকাতদেরও গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুল আলীম জানান, মোহাম্মদ হোসেন নামে আমাদের উপজেলায় কোনো সাংবাদিক নেই। আর আমাদের উপজেলার সাংবাদিকরা প্রত্যেকেই পেশাদারিত্বের সঙ্গে সাংবাদিকতা করেন।