শিবগঞ্জে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা,স্বামী ও শ্বাশুড়ী আটক

আব্দুর রহমান আব্দুর রহমান

শিবগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১০:৩১ অপরাহ্ণ, মে ২১, ২০২০

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বুড়িগঞ্জ ইউনিয়নের খাদইল মিস্ত্রি পাড়া গ্রামে পাষান্ড স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে, স্বামী ও শ্বাশুড়ীকে আটক করেছে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ।

জানা যায়, খাদইল চকঝিনাহার গ্রামের ধলু মিয়ার মেয়ে নুরুন্নাহার বৃষ্টির পারিবারিক ভাবে একই এলাকার আব্দুল মতিন সরদারের ছেলে জুয়েল সরদার (২২) এর সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। বিবাহের সময় বৃষ্টি নাবালিকা হলেও অপরূপা সুন্দরী হওয়ার কারণে সু-দৃষ্টি পরে জুয়েলের। সে কোন যৌতুক না নিয়ে গত ১০ মাস পূর্বে ঘটা করে পারিবারিক ভাবে বিবাহ করে।

বিবাহের পরে সংসারে অভাব অনাটন লেগেই থাকতো। স্ত্রীর চাহিদা মত কোন কিছু দিতে না পারায় মাঝে মধ্যেই তাদের মধ্যে বাক বিতন্ডতা সৃষ্টি হতো। একপর্যায়ে ২১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় স্বামী স্ত্রীর তাদের কক্ষে শুয়ে থেকে গল্প করছিল বলে পারিবারিক ভাবে জানায়। এক পর্যায়ে স্ত্রী বৃষ্টি আসন্ন ঈদ উপলক্ষে স্বামীর কাছে নতুন জামা কাপড় সহ প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস পত্রে আবদার করে। এতে স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে বলে বিয়ের সময় তোর বাবা কি দিয়েছে, বিনা যৌতুকে তোকে বিয়ে করেছি। এতো কিছু চাস কেন? আমি তোকে এতো কিছু দিতে পারবো না। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া বিবাদের সৃষ্টি হয়।

একপর্যায়ের পাষন্ড স্বামী জুয়েল স্ত্রীকে এলোপাথারী বেধরক মারপিট করতে থাকে। এক পর্যায়ে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। অবস্থা বেগতিক দেখে জুয়েল ও তার মা বেদেনা বেগম সহ পরিবারের সদস্যরা গলা ওড়না পেচিয়ে ঘরের তীরের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। পরে এলাকাবাসী জানা জানি হলে মৃত: দেহ নামিয়ে শিবগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক বৃষ্টিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে শিবগঞ্জ থানা ইন্সপেক্টর তদন্ত ছানোয়ার হোসেন প্রয়োজনীয় ফোর্স ও সঙ্গীয় অফিসার আলহাজ্ব উদ্দিন সঙ্গে নিয়ে হাসপাতাল থেকে মৃত দেহ উদ্ধার করে সুরুত হাল রিপোর্ট তৈরী করে থানা হেফাজতে রাখে।

এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃষ্টির স্বামী জুয়েল সরদার ও তার মা আবেদা বেগম কে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। মৃত দেহ থানা মৃত দেহ রক্ষন কক্ষে রাখা হয়েছে, আগামীকাল শুক্রবার ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শজিমেকে প্রেরণ করা হবে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৃষ্টির পরিবার থেকে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।