শিবগঞ্জে চাঁদার দাবীতে মৎস্য ব্যবসায়ীকে মারপিট

আব্দুর রহমান আব্দুর রহমান

শিবগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৯:২৫ অপরাহ্ণ, মে ৬, ২০২০

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বুড়িগঞ্জে চাঁদার দাবীতে বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ী আঃ রাজ্জাক কে মারপিট থানায় অভিযোগ।

অভিযোগ ও একাধিক বিশ্বাস্থ সুত্রে জানা যায়, শিবগঞ্জ উপজেলার বুড়িগঞ্জ ইউপির উঃ বিলহামলা গ্রামের মৃত হায়দার আলীর পুত্র বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ী আঃ রাজ্জাক (৩২) একই ইউপির ত্রিলোচ মৌজাতে সরকারী খাস পুকুর লীজ নিয়ে বিগত বছর চার পূর্বে থেকে মাছ চাষ করিয়া আসিতেছে। এমতাবস্থায় ত্রিলোচ বড়াইল গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের পুত্র প্রভাশালী মন্জুরুল ইসলাম (৩৫) দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ভাবে মৎস্য চাষী আঃ রাজ্জাকের নিকট চাঁদা দাবী করে আসছিলো।

 

৫ মে সন্ধ্যায় মৎস্য চাষী আঃ রাজ্জাক বৃষ্টির পর উক্ত পুকুরটি দেখতে য়ায়। আঃ রাজ্জাক পার্শ্ববর্তী মৃত আফজালের পুত্র ছানাউল ইসলামের পুকুর পাড়ের নিচ দিয়ে তার চাষ করা মাছ পারাপার হলে চাষী আঃ রাজ্জাক ছানাউল ইসলামের পরিবারে বার বার নিষেধ করে। মাছ পারাপারে চাষী আঃ রাজ্জাক উক্ত স্থানে বাঁশের চরাট দিয়ে শঁক্ত বেঁড়ে দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেও কোন কাজে না আসায়, ছানাউল ইসলামের পরিবারে জানান কে বা কারা আমার এই চরাট রাতের আধাঁরে তুলে ফেলে, এমন বক্তব্য উপস্থাপনের পরই ছানাউলের স্ত্রী ও তার মা প্রথমে আঃ রাজ্জাক কে উদ্দেশ্য গালিগারাজ আরম্ভ করে। এতে উভয়ের মধ্যে তর্কবিতর্কের এক পর্যাযে অভিযোগে উল্লেখিত ব্যক্তিগণ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ধস্তাধস্তি অবস্থায় মৎস্য চাষী আঃ রাজ্জাকের মাথায় একই গ্রামের মুন্জুরুল ইসলাম পিছন থেকে ভারী লাঠির আঘাত করলে আহত রাজ্জাক আঘাত প্রাপ্ত হইয়া গুরুত্বর রক্তাক্ত অবস্থায় স্হানীয়দের চেষ্টায় তাকে উদ্ধার করে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন।

এ ব্যাপারে আঃ রাজ্জাকের বড় ভাই আঃ জলিল শিবগঞ্জ থানায় পাঁচজন কে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমানের নিকট ৬ মে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।