লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় একটি বাড়িতে ধানের শীষের উঠান বৈঠক থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৭৯ জন নেতাকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়েছে পুলিশ ও বিজিবি’র যৌথ টিম। আটকৃতদের মধ্যে উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি রাফিউদ্দারাজ রানু মিয়া, সম্পাদক বাদলসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মী রয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে আজ মঙ্গলবার দুপুরে হাতীবান্ধার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের উত্তর জাওরানী গ্রামের ছাতুর দিঘি বাজার সংলগ্ন এক বিএনপি নেতার বাড়িতে চলা উঠান বৈঠকের সময় বাড়িটি ঘিরে রাখে পার্শ্ববর্তী জাওরানী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাম্পের সদস্যরা। পরে ঘটনাস্থল থেকে মোট ৭৯ জন নেতাকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে বিকেল ৫ টার দিকে হাতীবান্ধা থানায় নিয়ে আসা হয়।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ওমর ফারুক জানান, ‘সীমান্ত এলাকায় বৈঠকের বিষয়টি সন্দেহ হলে বিজিবি ওই বৈঠকটি ঘিরে রাখে পুলিশকে খবর দেয়। সেখান থেকে ৭৯ জনকে জিজ্ঞসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ব্যাপারে বিএনপির প্রার্থী ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান জানান, মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ছাতুর দিঘী বাজার সংলগ্ন আমিনের বাড়িতে ধানের শীষের উঠান বৈঠক চলছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই ওই বাড়িটি বিজিবি ঘিরে ফেলে। পরে সেখান থেকে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের ৭৯ জন নেতাকর্মীকে আটক করা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এসব নেতাকর্মীদের কারও বিরুদ্ধে কোন গ্রেফতারি পরোয়ানা নেই উল্লেখ করে বিএনপি প্রার্থী রাজীব বলেন, বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সাথে কথা বলছি।
কিন্তু এখন পর্যন্ত (মঙ্গলবার সন্ধ্যা) কোন সিদ্ধান্ত জানায়নি পুলিশ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা ও লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ জানান, সীমান্ত এলাকায় বৈঠক করায় সন্দেহজনক ভাবে বিজিবি তাদেরকে ঘিরে রেখে থানা পুলিশকে অবগত করে। তবে তারা কারা এবং কী কারণে বৈঠক করছিল। বিষয়টি তদন্ত করে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তবে নির্দোষ লোককে গ্রেফতার না করতেও বলা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
