৬২ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ চলছে

প্রকাশিত: ৯:৪৩ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৩০, ২০২১
ছবি: সংগৃহীত

তৃতীয় ধাপে ৬২টি পৌরসভায় সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা চলবে এ ভোটগ্রহণ। তৃতীয় ধাপে সবগুলো পৌরসভায় ভোটগ্রহণ চলছে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে।

এ ধাপে ৬৪ পৌরসভায় ভোটের তফসিল হলেও আইনগত জটিলতা থাকায় পাবনার সুজানগর পৌরসভার ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এদিকে কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভায় মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় শনিবার ভোটের প্রয়োজন হচ্ছে না।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্র জানায়, ৬২টি পৌরসভায় ২২৯ জন মেয়র পদে, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৫৫ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২ হাজার ৩৬০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। মোট ৩ হাজার ৩৪৪ জন প্রার্থী তৃতীয় ধাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

তাছাড়া ইতোমধ্যে তৃতীয় ধাপে ৩৭ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন। কুমিল্লার লাকসাম, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ এবং গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া– এই পৌরসভায় মেয়র পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন। এছাড়া নয়জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে এবং ২৫ জন সাধারণ কাউন্সিলর পদেও প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন।

নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে ইতোমধ্যে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা মাঠে রয়েছেন। ভোটের দিন চার স্তরের নিরাপত্তা থাকবে।

আর ৬২টি পৌরসভায় ৬২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে মোট পাঁচ দিনের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নির্বাচনের আগের দুই দিন, ভোটের দিন এবং ভোটের পরের দুই দিন তারা দায়িত্ব পালন করবেন।

নির্বাচনী এলাকাগুলোয় বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) থেকে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। আগামী রোববার (৩১ জানুয়ারি) ভোর ৬টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে।

শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) রাত ১২টা থেকে ৩০ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় ট্রাক ও পিকআপ চলাচল বন্ধ থাকবে। এই সময়ের মধ্যে লঞ্চ, ইঞ্জিলচালিত সবধরনের নৌ-যান ও স্পিডবোট বন্ধ থাকবে। তবে ইঞ্জিন চালিত ক্ষুদ্র নৌযান বা ভোটাররা চলাচলের জন্য ক্ষুদ্র নৌযান চলাচল করতে পারবে।

যে ৬২টি পৌরসভায় ভোট হবে সেগুলো হলো- দিনাজপুরের হাকিমপুর, নীলফামারীর জলঢাকা, কুড়িগ্রামের উলিপুর, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, বগুড়ার ধুনট, শিবগঞ্জ, গাবতলী, কাহালু ও নন্দীগ্রাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর, নওগাঁর সদর ও ধামইরহাট, রাজশাহীর মুন্ডুমালা ও কেশরহাট, নাটোরের সিংড়া, পাবনা সদর, চুয়াডাঙ্গার সদর ও দর্শনা, ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু ও কোটচাঁদপুর, যশোরের মনিরামপুর, নড়াইলের সদর ও কালিয়া, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ, খুলনার পাইকগাছা, সাতক্ষীরার কলারোয়া, বরগুনার সদর ও পাথরঘাটা, ভোলার বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান, বরিশালের গৌরনদী ও মেহেন্দিগঞ্জ, ঝালকাঠির নলছিটি, পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী, টাঙ্গাইলের সদর, মির্জাপুর, ভূঞাপুর, সখিপুর ও মধুপুর, জামালপুরের সরিষাবাড়ী, শেরপুরের নকলা ও নালিতাবাড়ী, ময়মনসিংহের ভালুকা, গৌরীপুর ও ঈশ্বরগঞ্জ, নেত্রকোনার দূর্গাপুর, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, মুন্সীগঞ্জের সদর, রাজবাড়ীর পাংশা, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, শরীয়তপুরের নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ ও জাজিরা, সিলেটের গোলাপগঞ্জ ও জকিগঞ্জ, মৌলভীবাজারের সদর, কুমিল্লার বরুড়া ও চৌদ্দগ্রাম, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, ফেনীর সদর, নোয়াখালীর হাতিয়া ও চৌমুহনী এবং লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ।

পাবনার সুজানগর পৌরসভার ভোট বৃহস্পতিবার স্থগিত করা হয়েছে।

দেশের ৩২৯টি পৌরসভার মধ্যে প্রথম ধাপে ২৪টি পৌরসভায় ইভিএমে ভোট হয় ২৮ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় ধাপে ৬০টি পৌরসভায় ভোট হয় ১৬ জানুয়ারি। চতুর্থ ধাপে ৫৬টি পৌরসভার ভোট ১৪ ফেব্রুয়ারি এবং পঞ্চম ধাপে ৩১টি পৌরসভায় ভোট হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি।