কুসিক নির্বাচন: রিফাত-সাক্কুর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই

প্রকাশিত: ৯:০৩ অপরাহ্ণ, জুন ১৫, ২০২২
মনিরুল হক সাক্কু ও আরফানুল হক রিফাত। ফাইল ছবি

ভোট গণনার সময় কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ও বিএনপি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বুধবার (১৫ জুন) শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষে বিকেল ৫টা থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রের ফলাফল আসা শুরু হয়। এই ফলাফলে এগিয়ে আছেন গত দুবারের মেয়র সাক্কু।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী ১০৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৬টি কেন্দ্রের ফলাফলে সাক্কু পেয়েছেন সাত হাজার ৯৩৪ ভোট। অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রিফাত পেয়েছেন সাত হাজার ৪৭১ ভোট।

এদিন সকাল ৮টায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

কুমিল্লা সিটির পাশাপাশি পাঁচটি পৌরসভা, চারটি উপজেলা পরিষদ এবং দেড় শতাধিক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল থেকেই ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে শুরু করেন। তবে কুমিল্লার বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, পুরুষের চাইতে নারী ভোটারের উপস্থিতি বেশি। নির্বাচন চলাকালে কোথাও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি।

সারাদেশের দৃষ্টি এখন কুসিক নির্বাচনের দিকে। কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের অধীনে প্রথম নির্বাচন এটি। তাই নির্বাচনে কোনো ধরনের ফাঁক রাখতে চাচ্ছে না কমিশন। যে কোনো নির্বাচনের তুলনায় বেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

এবার নির্বাচনে পাঁচজন মেয়রপ্রার্থী রয়েছেন। তবে মূল লড়াইটা হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ও বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সদ্য সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু এবং নিজাম উদ্দিন কায়সারে মধ্যে। সাক্কু গত দুই মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। বাকি দুজন প্রথমবারের মতো লড়াই করছেন। ফলে কুমিল্লাবাসীর মুখে এখন প্রশ্ন—সাক্কুর হ্যাটট্রিক নাকি নতুন মুখের অভিষেক।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব কিছুই করা হয়েছে। কুমিল্লা জেলা ও পুলিশ প্রশাসন যথেষ্ট তৎপর। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো শঙ্কার কারণ নেই।

কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর। দায়িত্বে কেউ গাফিলতি ও অনিয়ম করলে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবার নির্বাচনে মোট ভোটার দুই লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ১৭ হাজার ৯২, পুরুষ ভোটার এক লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। আর দুজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার।

মোট ১০৫টি কেন্দ্রের ৬৪০টি কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মেয়র ছাড়াও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০৬ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।