রাজশাহীতে গীর্জায় কিশোরীকে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ, ফাদার গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০

রাজশাহীর তানোরে গির্জায় কিশোরীকে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় বিশপ হাউসে আশ্রয় নিয়েছিলেন অভিযুক্ত ফাদার। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরীর নওদাপাড়া এলাকার বিশপ হাউস থেকে প্রদীপ গ্যাগরী (৫০) নামে ওই ফাদারকে পাকড়াও করেছে র‌্যাব।

এর আগে সন্ধ্যায় উপজেলার মুণ্ডুমালা মাহালীপাড়া এলাকার সাধুজন মেরী ভিয়ান্নী গির্জায় ফাদারের কক্ষ থেকে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ।

ঘটনার শিকার ওই কিশোরী মুণ্ডুমালা মাহালীপাড়ার বাসিন্দা। গত ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে গির্জার পাশে ঘাস কাটতে গিয়েছিল ওই কিশোরী। তারপর থেকে সে আর বাড়ি ফেরেনি। অনেক খুঁজেও তার সন্ধান পায়নি পরিবার। পরে এনিয়ে থানায় সাধারণ ডায়রি করেন নিখোঁজের বড়ভাই।

এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে প্রভাবশালীদের নিয়ে গির্জায় সালিশ বৈঠক করেন ধর্মীয় নেতারা। সেখানে ওই কিশোরীকেই ঘটনার জন্য দোষারোপ করেন।

পরে তার পরিবারকে সমাজচ্যুত করেন প্রভাবশালীরা। সেখানে ফাদার প্রদীপকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন ধর্মীয় নেতারা।

খবর পেয়ে সন্ধ্যায় তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো গির্জা থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেন। রাতে ওই কিশোরীর ভাই ফাদারকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়েরের পর ঘটনা ভিন্ন দিকে মোড় নেয়।

র‌্যাব-৫ এর রাজশাহীর কোম্পানি অধিনায়ক এটিএম মাইনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, গ্রেফতার এড়াতে প্রদীপ গ্যাগরী নওদাপাড়া বিশপ হাউসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। খবর পেয়ে সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এরপর তাকে তানোর থানায় সোপর্দ করা হয়।

তানোর থানার ওসি রাকিবুল হাসান জানান, গ্রেফতার ফাদারকে ওই মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

এছাড়া শারীরিক পরীক্ষার জন্য ওই কিশোরীকে বুধবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে। পুলিশ এনিয়ে আইনত ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানান ওসি।