মোবাইলে ডেকে নিয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ

প্রকাশিত: ২:২৪ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৩১, ২০১৯

পটুয়াখালীর মহিপুরে মোবাইলে ডেকে নিয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি রাকিব চৌকিদারকে (২০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে মহিপুরের কমরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মহিপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় মহিপুর থানা সদর ইউনিয়নের কমরপুর গ্রামের শাহ আলম চৌকিদারের ছেলে রাকিব চৌকিদার (২০) ও তার দুই সহযোগী কোমরপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর চৌকিদারের ছেলে বাবু (২২) ও জয়নাল ফকিরের ছেলে ওবায়দুলকে (২৪) আসামি করা হয়েছে।

 

মামলার বিবরণে জানা গেছে, মহিপুর কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রী (১৩) দীর্ঘদিন ধরে মোবাইলে ফোনে কথা বলতো কোমরপুর গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রাকিবের সঙ্গে। গত বুধবার রাত ২টার দিকে রাকিব ওই ছাত্রীর দাদির ফোনে কল দিয়ে তাকে ঘরের বাইরে বের হতে বলে। সবার অগোচরে ঘরের বাইরে বের হলে ওই ছাত্রীর গলায় ছুরি ধরে রাকিব তার দুই সহযোগীর মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী বালুর মাঠ এলাকায় নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।

মেয়েটির বাবা জানান, প্রায় দুই বছর আগে স্ত্রী মারা যাওয়ার পর মেয়ে দাদির কাছেই থাকতো। ঘটনার রাতে নাতনীকে না পেয়ে দাদি বিষয়টি তাকে জানালে তিনি বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুজি করেন। পরদিন (২৯ আগস্ট) সকালে মেয়েকে না পাওয়ায় বিষয়টি তিনি থানা পুলিশকে জানান। ওইদিন দুপুর ১২টার দিকে রাকিব মেয়েটিকে কুয়াকাটা থেকে একটি অটোতে উঠিয়ে দিলে সে বাসায় এসে বিষয়টি জানায়।

পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক ডা. সেলিনা রহমান বলেন, মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে ধর্ষণের বিষয়টি বোঝা যাবে।

পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) শেখ বেলাল জানান, এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি রাকিবকে (২০) গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।