বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে আদালতে আসা লজ্জাজনক: হাইকোর্ট

প্রকাশিত: ৬:৩৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২২, ২০১৯

বিশ্ব ইজতেমা পালনে আদালতের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করে কোর্টে আসা লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহ মো. নুরুল আমিন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

শুরুতেই রিটকারীর আইনজীবী শাহ মো. নুরুল আমিন আদালতের সামনে মামলার বিবরণীর ওপর শুনানি করেন।

শুনানির এক পর্যায়ে আদালত রিটকারী পক্ষের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা নিজেরা দুই ভাগে বিভক্ত হলে দ্বীনের প্রচার করবেন কীভাবে? নিজেদের মধ্যে মারামারি করবেন, আবার ইজতেমা পালনের জন্য আদালতে রিট দায়ের করবেন, এটা লজ্জার। আগে নিজেরা সংশোধন হন, সুস্থ হন এবং নিজেদের মধ্যকার বিভেদ নিরসন করুন। তারপরই আপনাদের আবেদন শুনব।’

এরপর রিটকারীর আইনজীবী শাহ মো.নুরুল আমিন আদালতকে বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসনের চেষ্টা চলছে। তবে দ্বন্দ্ব নিরসন সম্ভব না হলে সরকার দুই পক্ষকে আলাদা-আলাদাভাবে ইজতেমা পালনের যে নির্দেশনা দিয়েছেন তাই পালন করা হবে।’

এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু আদালতকে জানান, বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি জরুরি সভার তারিখ নির্ধারণ রয়েছে। ইজতেমার বিষয়ে সেখান থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা আসতে পারে।’

রাষ্ট্রপক্ষের এই শুনানির পর মামলাটির পরবর্তী শুনানি ও শুনানি শেষে আদেশের জন্য আগামী ২৭ জানুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট।

এর আগে সোমবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উত্থাপন করা হয়।

হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ইউনুস মোল্লা। রিট আবেদনে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ তিন জনকে বিবাদী করা হয়।

রিট আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে তাবলিগের কার্যক্রম শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে পাঁচ দফা নির্দেশনা দিয়ে ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা পরিপত্র পুনর্বহাল চাওয়া হয়।

এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর দাওয়াতে তাবলীগের কার্যক্রম সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুশৃঙ্খলরূপে পরিচালনার জন্য পরিপত্র জারি করে ধর্ম মন্ত্রণালয়।