বগুড়ায় বিষাক্ত মদ খেয়ে নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার ভোররাতে তাদের আটক করা হয়। বগুড়ার সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ বলেন, মুন হোমিও, পারুল হোমিও, করতোয়া হোমিও, করমোটেরি হাসান হোমিও হল থেকে তাদের বুধবার ভোররাতে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটক করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন শহরের ফুলবাড়ি এলাকার পারুল হোমিও ল্যাবরেটরিজের স্বত্বাধিকারী নুরুন্নবী ওরফে নুরনবী (৫৮), শহরের গলাপট্টি এলাকায় মুন হোমিও হলেও স্বত্বাধিকারী আব্দুল খালেক (৫৫), করতোয়া হোমিও হলের স্বত্বাধিকারী শহিদুল আলম সবুর (৫৫) ও হাসান হোমিও হলের কর্মচারী আবু জুয়েল (৩৫)।

বগুড়ায় ‘বিষাক্ত মদপানে’ এ পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

বিষাক্ত মদ বিক্রির বিষয়ে বগুড়া সদর থানায় সোমবার রাতে একটি মামলা হয়েছে। মামলা বাদী বিষাক্ত অবস্থায় আহত হাসপাতালে ভর্তি রঞ্জুর বড় ভাই মনোয়ার। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আসামিরা হলেন খান হোমিও হলের মালিক শাহিনুর রহমান শাহীন, পারুল, পুনম ও ইউনিয়ন হোমিও হলের মালিক নুর আলম, নুর মোহাম্মদ ও নুর নবী। নুর আলম, নুর মহাম্মদ ও নুর নবী এরা তিনজন আপন ভাই।

এ ঘটনায় হোমিওপ্যাথি ওষুধের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পৃথকস্থানে অভিযান পরিচালনা করেছে। বুধবার দুপুরে বগুড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাপিয়া সুলতানার নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে অনুমোদনহীন, মিসব্র্রান্ডেড ওষুধ, রেজিস্ট্রারবিহীন ওষুধ, লাইসেন্সবিহীন ও চিকিৎসক ছাড়া হোমিও ওষুধ বিক্রির অভিযোগে দুটি হোমিওপ্যাথি ওষুধের দোকানের সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অভিযানে জেলা শহরের গালাপট্টির মাহী হোমিও হলের এ কে এম রুহুল আমিনকে (৪৬) অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাকে অনুমোদনহীন, মিসব্রান্ডেড ওষুধ, লাইসেন্সবিহীন ও চিকিৎসক ছাড়া হোমিও ওষুধ বিক্রির অভিযোগে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এদিকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিট্রেট তাসনিমুজ্জামান আরো একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বগুড়া শহরের গালাপট্টির মোড়ের দি মুল হোমিও হলে। সেখানেও একই অপরাধে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে পৃথকভাবে আরো ৩০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়।