বগুড়ায় ফসলের জমি ঝুঁকিতে ফেলে বালু উত্তোলন!

আব্দুর রহমান আব্দুর রহমান

শিবগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩:১০ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৬, ২০১৯

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার আরজি পার আচঁলাই ও পার টেপাগাড়ী নামক স্থানে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে বালু সরবরাহ সংক্রান্ত বিষয়ে ক্ষতির আশংকায় এলাকাবাসী বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেছেন।

দাখিলকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নাগর ইউনিয়ন ও মোকামতলা ইউনিয়নের মধ্যেবর্তী স্থান আরজি পার আচঁলাই ও পার টেপাগাড়ী নামক স্থানে এক ফসলি জমিতে মোকামতলা ইউনিয়ন আওয়ামীগের সাধারণ সম্পাদক রাজা চৌধুরী ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে বিটবালু সরবরাহের জন্য এমকেএস মনিকো কনস্ট্রাকশনের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু তোলার জন্য প্রস্তুতি নিলে ঐ স্থানের আশপাশের জমির মালিকরা বাঁধা প্রদান করে এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শিবগঞ্জ থানার ওসি বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার সরেজমিনে গেলে ভুক্তভোগী জমির মালিক সাজেদুল, আঃবারী, সিরাজুল, রনি, রুমান, সোহাগ, রেজাউল করিম, রাহেলা, রুহুল আমিন, মরিয়ম বেগম, জিয়া, জিহাদ, জুলফিকার, জালাল উদ্দিন, হান্নান, ওবায়দুল, নজরুলসহ প্রায় ৩৫-৪০জন কৃষক বলেন, আমাদের প্রায় ৩০ বিঘা জমি নষ্ট করে অবৈধভাবে বালু তোলার পায়তারা চলছে, আমরা উদ্ধতন কর্মকতাদের নিকট আমাদের শেষ সম্বল জমি রক্ষার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। জানতে চাইলে চুক্তিবদ্ধ জমির মালিক রাজা চৌধুরী বলেন, আমার সাথে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের কাজের জন্য এমকেএস মনিকো কনস্ট্রাকশনের সাথে চুক্তি হয়েছে। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। এমকেএস মনিকো কনস্ট্রাকশন যদি উদ্বোধন কর্মকতাদের কাছ থেকে অনুমতি পায় তাহলে বালু তোলা সম্ভব হবে, আর যদি না পায় তাহলে তোলা সম্ভব হবেনা।

এবিষয়ে মোকামতলা ইউপি চেয়ারম্যান মোকলেছার রহমান খলিফার বলেন, এবিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। বালু উত্তোলন সম্পর্কে শিবগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, এসংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছি, বালু কোন ভাবেই তুলতে দেওয়া হবেনা। তবে সচেতন একটি মহল মনে করছেন, এলাকাবাসীর ফসলি জমির ক্ষতি করে বালু উত্তোলন না করাই শ্রেয়।