বগুড়ায় কলেজ ছাত্রী সাদিয়া হত্যা মামলায় ১জন গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১২:৫৪ পূর্বাহ্ণ, মে ১৮, ২০১৯

বগুড়া সদর প্রতিনিধিঃ বগুড়ায় কলেজ ছাত্রী সাদিয়া হত্যার ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা।

বগুড়া সদর উপজেলার নামুজা ইউপির বগারপাড়া গ্রামের গৃহবধূ কলেজ ছাত্রী সাদিয়া হত্যার অভিযোগে তার পিতা খসরু বাদী হয়ে সদর থানায় ৬ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার এজারহার ভুক্ত আসামী মোছাঃ শামিমা ওরফে ছখিনাকে আটক করেছে পুলিশ।

মামলার এজাহার তুলে ধরা হল:

আসামী (১) সাব্বির হোসেন (২) সেলেন্দার আলী (৩) মোছাঃ আমেনা বেগম (৪) সাথি বেগম (৫) ছানা মিয়া (৬) মোছাঃ শামিমা ওরফে ছকিনা সর্বসাং-নামুজা বগার পাড়া, থানা ও জেলা-বগুড়াদের বিরুদ্ধে সদর থানায় এজাহার করিতেছি যে, আমার ৩টি কন্যা সন্তান, কোন পুত্র সন্তান নাই। আমি একজন গরীব অসহায় মানুষ। আমার বাড়ী ও আসামীদের বাড়ী একই গ্রামে ও পাশাপাশি ১নং আসামী (সাব্বির হোসেন) পূর্বে অন্যত্র বিবাহ করিয়া ঘর সংসার কালে তাহার প্রথম স্ত্রীকে তালাক প্রদান দেয়। তারপর আসামীগণ আমার মেয়ের সাথে ১নং আসামী(সাব্বির হোসেন) বিবাহের প্রস্তাব দিলে আমি তাহাদের প্রস্তাব রাজি না হইলে আসামীগণ ধনী ও অর্থসম্পদের মালিক হওয়ায় আমাকে ফুসলাইয়া বিবাহতে রাজি করে এবং ১নং আসামী (সাব্বির হোসেন) বলে আমার মেয়েকে বিবাহ করিবে, তাহারা কোন যৌতুক নিবেনা বরং আমার মেয়ের নামে ৬ শতক জমি দলিল করিয়া দেয়। সেই মোতাবেক আমার প্রায় এক বছর পূর্বে আমার বড় মেয়ে সাদিয়া বেগম (১৯) কে ১নং আসামী সাব্বির হোসেনের সহিদ ইসলামী শরিয়তের বিধান মোতাবেক ৩ লক্ষ টাকা দেন মোহরানা ধার্য করিয়া রেজিষ্ট্রীকৃত কাবিননামা মূলে বিবাহ দেই। বিবাহের পর হইতে ২-৬নং আসামীদের কু-পরামর্শে ও প্ররোচনায় ১নং আসামী সাব্বির হোসেন ১লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবীতে আমার মেয়েকে মারপিট ও অত্যাচার নির্যাতন করিতে থাকে। এমতাবস্থায় গত ইং-১৫-৫-২০১৯ তারিখ সন্ধ্যার পর ২নং আসামী সেকেন্দার আলী আমাকে তার বাড়ীতে ডাকিলে আমি তাহার বাড়ীতে গেলে ১নং আসামী সাব্বির হোসেন আমাকে বলে যে, বিবাহ অনুষ্ঠান করিতে হইবে এবং যৌতুক বাবদ এক লক্ষ্য টাকা দিতে হবে। আমি ধান কাটার শেষে ব্যবস্থা করিব বলিয়া আশ্বাস দিয়া আসামীদের বাড়ী হইতে ইং-১৫-৫-২০১৯ তারিখ রাত্রী অনুমান সাড়ে ৮টায় সময় চলিয়া আসি। পরদিন ইং-১৬-৫-২০১৯ তারিখ সকাল অনুমান ৭টার সময় লোক মুখে জানতে পারি যে, আসামীরা যৌতুকের দাবীতে আমার মেয়েকে হত্যা করিয়াছে। আমার জামায় বাড়ীতে (আসামীদের বাড়ীতে) কেউ নাই। সঙ্গে সঙ্গে আমি আমার সঙ্গীয় লোকজন ও স্বামীসহ ঘটনাস্থলে গিয়া ১নং আসামী (সাব্বির হোসেন)’র শয়ন ঘরের পাকা মেঝেতে আমার মেয়ের মৃতদেহ পড়িয়া আছে। আমার মেয়ে গলায় কালো দাগ দেখতে পাই। ঐ সময় আসামীদের বাড়ীতে কাউকে দেখিনাই। ইং-১৫-৫-২০১৯ তারিখ রাত্রী অনুমান সাড়ে ৮টায় পর হইতে ইং-১৬.৫-২০১৯ তারিখ সকাল অনুমান ৭ টার মধ্যে যে, কোন সময় ২-৬নং আসামীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় এবং প্ররোচণায় ১নং আসামী সাব্বির হোসেন পূর্বে দাবীকৃত য়ৌতুকের দাবীতে আমার বড় মেয়ে সাদিয়া বেগম (১৯) কে গলায় শ্বাসরুদ্ধ করিয়া হত্যা করিয়া কৌশলে তাহারা ঘটনাস্থল (বাড়ী) হইতে পালায়া যায়।