পরিবর্তনের অঙ্গীকার আমাদের, সিদ্ধান্ত আপনাদের: ভিডিওবার্তায় মান্না

প্রকাশিত: ৪:১০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৮
নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক ও বগুড়া-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মাহমুদুর রহমান মান্না। ফাইল ছবি

বিশেষ প্রতিবেদক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও ভোটারদের কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, এই ভোটে যদি গণতন্ত্র জয়ী হতে না পারে, তা হলে স্বৈরতন্ত্র জয়ী হবে এবং লুটপাতের রাজত্ব তৈরি হবে।

আওয়ামী লীগ ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে জানিয়ে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘নির্বাচনে ভীতি ছড়িয়ে তারা মানুষকে ভোট দানে বিরত রেখে ভোট কারচুপি করে আবার ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে।’

ভোটারদের ভোটের সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি একটি লড়াই। আপনার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, তাই ভোট দিতে হবে। যে কোনো ধরনের বাধাবিপত্তি আসুক না কেন ভোট আপনার অধিকার। সেটি প্রতিষ্ঠা করার জন্য আপনাকেই লড়াই করতে হবে।’

একাদশ নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, সম্ভবত স্বাধীনতা উত্তরকালে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। কারণ এ নির্বাচনেই সমগ্র জাতির সামনে প্রশ্ন এসেছে-দেশে গণতন্ত্র থাকবে কিনা।

কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কেন্দ্রে প্রতিপক্ষ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করতে পারে। গণতন্ত্রের ভিত্তিতে সেগুলো মোকাবেলা করে বিজয় অর্জন করতে হবে। তাই ভোটের দিন সকালে নিজের পরিবার-পরিজন নিয়ে ভোট দিতে যাবেন, ভোট দেবেন। ভোটের ফল জানারও আহ্বান জানান তিনি।

৫ জানুয়ারির একতরফা ভোটের বিষয়টি উল্লেখ করে মান্না বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে ৫ জানুয়ারি, ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নামে এক ঐতিহাসিক প্রহসন হয়েছিল। তারপর পাঁচ বছর কেটে গেছে। সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট, গুম, খুন ইত্যাদির মধ্য দিয়ে। এই পাঁচ বছরে উন্নয়নের নামে অবাধ লুটপাট হয়েছে, কর্মসংস্থান হয়নি, বেকারত্ব দূর হয়নি, সাড়ে ৮ কোটি কর্মক্ষম মানুষের মধ্যে চার কোটি বেকার শিক্ষিত যুবক, এক কোটি বেকার এবং দেশে সুশাসন নেই, গণতন্ত্র নেই দেশে একের পর এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।’

বগুড়া-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মান্না বলেন, পাঁচ বছর ধরে যে সীমাহীন অর্থসম্পদ বানিয়েছে, দুর্নীতি ও লুটপাতের মধ্য দিয়ে প্রভূত বিত্ত অর্জন করেছে, তারা সেটি ছাড়তে চায় না। এ কারণে এই নির্বাচনেও তারা দখল রাখতে চায়।

ভোটারদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই ভোটে যদি গণতন্ত্র জয়ী হতে না পারে, তা হলে স্বৈরতন্ত্র জয়ী হবে এবং লুটপাটের রাজত্ব তৈরি হবে।’