ধানের ভালো দাম পেয়ে খুশি রাণীনগরের কৃষকেরা

চম্পক কুমার চম্পক কুমার

জেলা প্রতিনিধি, নওগাঁ

প্রকাশিত: ৬:৪৫ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২, ২০২০
ফাইল ছবি

নওগাঁর রাণীনগরের কৃষকরা পালন করছে ঐতিহ্যবাহি নবান্নের উৎসব।

প্রতি বছরের ন্যায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই দিনটিকে ওই এলাকার কৃষকরা পালন করে। তবে এবার ধানের দাম বেশী পাওয়ায় তাদের মাঝে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। প্রতিটি গ্রামে ফিরে এসেছে নবান্নের উৎসবের আমেজ।

অগ্রহায়নে গ্রাম বাংলার কৃষকরা সাধারণত তাদের নতুন আমন ফসল ঘরে তোলেন। বর্তমানে মাঠে মাঠে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন দুলছে। আর এ সোনালী স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে কৃষক-কৃষাণীরা কোমর বেঁেধ কাজ করছেন। বাজারে প্রতি মণ (৪০ কেজি) ধান এক হাজার একশত টাকা দরে কেনা বেচা চলছে। কৃষকরা এবার ধানের দাম বেশি পেয়ে বেশ খুশি। তাদের মাঝে বাড়তি উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। করোনা ভাইরাসের কারণে কোন বটতলীতে মেলা বসতে দেখা যায়নি। তবে প্রতিটি ঘরে ঘরে চলছে নবান্নের মহা উৎসব।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার কাটরাশইন, মালশনসহ অর্ধশতাধিক গ্রামের কৃষকরা নবান্ন উৎসব পালনের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। তারা নতুন ধানের আটা দিয়ে বিভিন্ন ধরণেয় পিঠা, পুলি এবং ক্ষীর তৈরি করেন। দিবস উপলক্ষে এলাকার মেয়ে-জামাইদের শ্বশুড় বাড়ীতে আগমন ঘটে। প্রায় প্রতিটি বাড়ীতে গরু ও মহিষের মাংস এবং নতুন ধানের চাল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে পায়েস ও ক্ষীর। এসব দিয়ে মেহমানদের অ্যাপায়ন করা হয়।

কাটরাশইন গ্রামের দুলাল সরকার বলেন প্রতিবছরই আমরা যারা সনাতন ধর্মের মানুষ আছি তারা নবান্নকে ব্যাপক ভাবে পালন করার চেষ্টা করি। চলতি বছর আমন ধানের ফলন ও দাম ভালো থাকায় কৃষকরা অনেকটাই খুশি তাই তারা জোরে সোরে নবান্নকে পালন করছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন, এবার উপজেলায় ১৮হাজার ৫শত ৪০হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। বর্তমানে ধান কাটামাড়াই পুরোদমে চলছে। বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পেয়ে কৃষকরা অনেকটাই খুশি। বাজারে কাঁচা ধান এক হাজার একশত টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে এলাকার কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। তাই কৃষকরা নবান্নে উৎসবে মেতে উঠেছেন।