টেন্ডার বাণিজ্য করিনি, ভারতে বাড়ি বানাব কীভাবে : এমপি পংকজ

প্রকাশিত: ৩:৩৬ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ৭, ২০১৯

বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য পংকজ নাথ বলেছেন, ভারত-কানাডা-রাশিয়ায় আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বা বাড়ি নেই। প্রতিবেশী বন্ধুদেশ হিসেবে ভারতে যাতায়াত করি মাত্র। ঢাকার রাস্তায় ২৪০টি গাড়ি চলে, এটাও সম্পূর্ণ বানোয়াট। বিহঙ্গ পরিবহনের একটি বাসের মালিক আমি। উত্তরায় বিলাসবহুল ১০ তলা বাড়ি, মালিবাগে পোশাক কারখানাও নেই আমার।

তিনি বলেন, আমি মনোনয়ন বাণিজ্য করিনি, ভারতের বাড়ি বানাব কীভাবে? টেন্ডার বাণিজ্য করিনি, পোশাক কারখানা কীভাবে থাকবে?

 

বুধবার দুপুরে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা শহরে মুক্তিযোদ্ধা পার্ক মাঠে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পংকজ নাথ। গত সোমবার বরিশাল নগরীর একটি রেস্তোরাঁয় মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজীরহাট থানা আওয়ামী লীগের সহপ্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক সঞ্জয় চন্দ্র সংবাদ সম্মেলন করে পংকজ দেবনাথের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, জমিদখল, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ার অভিযোগ করেন।

এর জবাবে নিজের অবস্থান জানাতে বুধবার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন পংকজ নাথ এমপি। তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা। একটি কুচক্রীমহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আর এ কারণেই ওই সব মিথ্যা নেতিবাচক তথ্য সাংবাদিকদের কাছে উপস্থাপান করা হয়েছে। তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অভিযোগকারী সঞ্জয় চন্দ্রের শাস্তি দাবি করেন।

পংকজ নাথ বলেন, আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে প্রতিপক্ষের ইন্ধনে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন সঞ্জয় চন্দ্র নামের ওই ব্যক্তি।

তিনি বলেন, আমি মনেকরি প্রতিটি মানুষের আয়ের উৎস প্রকাশ্যে আসা উচিত। আমার আয়ের প্রধান উৎস পরিবহন ব্যবসা। বিহঙ্গ পরিবহনের চেয়ারম্যান আমি। যা নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভ্রান্তকর তথ্য দেয়া হয়েছে। বর্তমানে দুটি নির্ধারিত রুটে এ পরিবহনের ৫০-৬০টি বাস চলাচল করে। যার মধ্যে মাত্র একটি বাস আমার নিজের। বাকি বাসের মালিক আরও ৪০ জন। আমার গার্মেন্টস ব্যবসা একসময় ছিল। কিন্তু এখন নেই। এককথায় অবৈধ বা গোপন করার মতো কোনো সম্পদ আমার নেই। আমার সম্পদের সকল হিসাব আয়কর তথ্যবিবরণীতে দেয়া রয়েছে। আর দেশের বাইরে সম্পদ গড়ার মতো অর্থ আমার নেই।

তিনি বলেন, সঞ্জয় নামে যে ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, সে আগেও সংবাদ সম্মেলন করে একইভাবে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। সঞ্জয় নিজ ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করেন। সে কারণে তাকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। মোটকথা হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উন্নয়ন দেখে একটি পক্ষ ইর্ষান্বিত। উন্নয়নের ধারা রুখে দিতে তারা আমার বিরুদ্ধে ছয় বছর ধরে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।