ঝুঁকি নিয়েই দাঁড়িয়ে আছে অবহেলায় জরাজীর্ণ ডাক অফিসটি

মাহমুদ আহসান হাবিব মাহমুদ আহসান হাবিব

জেলা প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও

প্রকাশিত: ১১:০৩ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৭, ২০২০

ভবনের ছাদ ভেদ করে বৃষ্টির পানি পরে অফিস কক্ষে। এতে নষ্ট হয় প্রয়োজনীয় চিঠি পত্র। প্রধান ফটকে নড়বড়ে গেট, অফিসের সাইনবোডে নামকর ও মিশে গেছে, সীমানা প্রাচীর ভাঙ্গা, দুর থেকে দেখে মনে হবে এটি একটি পরিত্যক্ত বাড়ী। অজানা মানুষের চেনার উপায় নেই যে এটি একটি ডাক অফিস।

তবে জরার্জীণ এক তলা ভবনেই চলে ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলা ডাক অফিসের কার্যক্রম।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলা পরিষদের পার্শে সড়ক ঘেঁষা ডাক অফিসটি। মহাসড়ক ঘেষেঁ রয়েছে সীমানা প্রাচীর তাও আবার ভেঙ্গে ছিন্ন- বিছিন্ন। ভবনের চার পাশে জন্ম নিয়েছে নানান প্রকৃতির ঝোপঝাড়, এবং ভবনের পাশে পড়ে রয়েছে দুর্গন্ধ পচা ময়লা আবর্জনা। অফিসের প্রবেশ পথের একমাত্র গেটিও নড়বড়ে। ভবনের ভিতরের কক্ষগুলো অবস্থা আরো নাজেহাল। কক্ষের ফ্লর গুলোর প্লাষ্টার উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে গর্ত, ছাদের বিভিন্ন স্থানে ঢালায় উঠে গিয়ে রড বেরিয়ে পড়েছে। কক্ষগুলোর দরজা জানালা অনেক পুরনো হওয়ায় তারাও আর আগের মতো কথা শুনে না। হাতের ছোয়া পেলেই যেন ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা।

বৈদ্যুতিক ওয়ারিং দেখে মনে হয় যেকোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। আর বৃষ্টি হলেই ভবনের ছাদ চুয়ে চুয়ে পানি পড়ে কক্ষ গুলোতে। এতে প্রয়োজনীয় চিঠিপত্র সংরক্ষণে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ডাক অফিসের কর্তাদের।

উপজেলা পোষ্ট মাষ্টার গোলাম মোস্তফা জানান, ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষনা করলেও এখনো নতুন ভবন নির্মাণ হয়নি। বিদ্যুতের ওয়ারিং এর তারগুলো যখন তখন ছুটে পড়ে যায়। ঝুকিপূর্ণ এই ভবনে জীবনের ঝুকি নিয়ে অফিস করছি। জানি না কখন কি দূর্ঘটনা ঘটে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আযম মুন্না বলেন, জরার্জীণ এই ডাক ভবনটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

তবে এব্যাপারে নাম না প্রকাশের অনইচ্ছুক জেলা ডাক অফিস ও বিভাগীয় অফিসের কয়েক জনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনারা জানান, আমরা তো আর সরেজমিনে গিয়ে দেখিনা কে কি অবস্থায় আছে, কোথায় ময়ালা ফেলল,কোথায় ঝোরঝাঁপ হলো। তবে আমরা জানি যে উপজেলার ডাক অফিসটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তবে এটা আমাদের আওয়াতায় পড়ে না,এটা রাজশাহী বিভাগের আওয়াতায় পড়ে আপনারা সেখানে যোগাযোগ করুন।

এবিষয়ে রাণীশংকৈল উপজেলার নির্বাহী অফিসার মৌসুমী আফরিদার মুঠোফোনে একাধিবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ করেননি।