চামড়ার মূল্য মাত্র সাড়ে তিন টাকা

প্রকাশিত: ৯:৪৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৩, ২০১৯

চামড়াকাণ্ডের শেষ কোথায়? এমন প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে রাজশাহীর মাদ্রাসা-এতিমখানায়। কোরবানির দানের চামড়ায় শিক্ষার্থীদের বহুদিনের খাবারের সংস্থান হয়। কিন্তু এবার চামড়া সংরক্ষেণ ব্যবহৃত লবনের দামই উঠছে না।

রাজশাহীর রেলগেটে রয়েছে চামড়ার আড়ত। সেখানে এসেছিলেন কাসেমী মাদ্রাসার শিক্ষক খায়রুল ইসলাম। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, তার মাদ্রাসায় ৪০০ পিস খাসির চামড়া দান পেয়েছিলেন। কিন্তু সেই চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে প্রতিটি সাড়ে তিন টাকা দরে। আর গরুর চামড়া ১০০ ও ৪০০ টাকার মধ্যে বিক্রি করতে হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, দাম কম থাকায় মাদ্রাসা ও এতিমখানা চামড়া দান পেয়েছে বেশি। কোরবানিদাতারা কম দামে চামড়া বিক্রি না করে দান করে দিয়েছেন। ফলে সেই চামড়া নিয়ে মাদ্রাসা ও এতিমখানার কর্তৃপক্ষ বিপাকে রয়েছে।
মাদ্রাসা ও এতিমখানার কর্তৃপক্ষ চামড়ার আড়তে গিয়েও চামড়া বিক্রি করতে পারছে না। বহু মাদ্রাসায় চামড়া পচে যাচ্ছে। সেকারণে সাড়ে তিন টাকা দরে চামড়া বিক্রির ঘটনা ঘটেছে।
দরগাপাড়ায় জামিয়া ইসলামিয়া শাহ মাখদুম দরগা মাদ্রাসা ও এতিমখানার মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি শাহাদত আলী গণমাধ্যমকে বলেন, ছয় শতাধিক চামড়া দান পেয়েছেন তারা। এই চামড়া বিক্রির টাকায় প্রায় ৩০০ ছাত্রের অনেক দিনের খাবারের সংস্থান হয়। কিন্তু ক্রেতা না পাওয়ায় চামড়াগুলোতে পচন ধরেছে। চামড়াগুলো রক্ষার জন্য বিশ হাজার টাকার লবণ কেনা হয়েছে। এই অতিরিক্ত খরচ আমাদের গলার কাঁটার মতো বিঁধে আছে।