ইজতেমায় দেশের সর্ববৃহৎ জুমার জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ৩:৪৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯

দেশের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে এবারের বিশ্ব ইজতেমায়। টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে ঢল নেমেছে লাখো মুসল্লির। যতটুকু চোখ যায়, শুধু দেখা মিলে টুপি-পাঞ্জাবি পরা মুসল্লিদের। লাখ লাখ মুসল্লি কাতারবন্দি হয়ে জুমার নামাজ আদায় করেছেন।

বৃহৎ এ জামায়াতে ইমামতি করেন কাকরাইল মসজিদের খতীব ও তাবলিগের শীর্ষ মুরব্বি ও শূরা সদস্য মাওলানা জোবায়ের। দুপুর ১টা ৪২ মিনিটে নামাজ শুরু হয়।

শুক্রবার ইজতেমা ময়দানে জুমার নামাজে অংশ নিতে গাজীপুরের আশপাশের জেলাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখ লাখ মানুষ এসে ভিড় করেছেন। জুমার নামাজের আগেই ইজতেমার পুরো শামিয়ানা ও ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। প্যান্ডেলের নিচে জায়গা না পেয়ে মুসল্লিরা অংশ নেন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ আশপাশের সড়ক ও গলিতে। মূলত বুধবার রাত থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ইজতেমা ময়দানে জড়ো হন মুসল্লিরা।

শুক্রবার ফজর নামাজের পর পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক আমবয়ান পেশ করেন। এর আগে গতকাল বাদ মাগরিব বয়ান করেন ভারতের প্রখ্যাত আলেম ও দায়ী, বিশ্ব তাবলীগের অন্যতম শীর্ষ মুরব্বী মাওলানা আহমদ লাট।

দেশ-বিদেশের শীর্ষস্থানীয় মুরব্বিরা বিশ্ব ইজতেমায় ইমান-আমল, ভ্রাতৃত্ব, ঐক্য-সংহতি ও জীবনের অন্যান্য বিষয়ের ওপর বয়ান করছেন এবারের ইজতেমায়।পুলিশ, র‌্যাবের নিয়মিত টহল। নিরাপত্তা চাঁদরে ঘিরে ফেলা হয়েছে টঙ্গী শিল্পনগরী পুরো শহরটিকে।

বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে নিরাপত্তা চাঁদরে ঘিরে ফেলা হয়েছে টঙ্গী শিল্পনগরী পুরো শহরটিকে। ইজতেমার সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য ইজতেমা মাঠে পাঁচটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশন, গাজীপুর জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, র‌্যাব, আনসার ও ভিডিপির কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তার জন্য পুলিশ প্রশাসনের ১৫টি ওয়াচ টাওয়ার, র‌্যাবের ১০টি ওয়াচ টাওয়ার। এছাড়া রয়েছে আকাশ ও নৌ-পথে পুলিশ, র‌্যাবের নিয়মিত টহল।