আদালতের নির্দেশে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন শিবগঞ্জের স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি

প্রকাশিত: ১১:৫০ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৮, ২০১৯

শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর উপ-নির্বাচনে হাই কোর্টের নির্দেশে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন শফিকুল ইসলাম শফি।

প্রসঙ্গ, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ১২নং রায়নগর উপনির্বাচনে সাম্প্রতি আগামী ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার উপনির্বাচন ঘোষণা করা হয়। এরপর ৫জন প্রতিদ্বন্দ্বীকে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার জনাব, আনিসুর রহমানের বরাবরে মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে দেখা যায়। এরা হলেন, রায়নগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন মিল্লাত, আওয়ামীলীগ মনোনিত উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ তাজুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশিষ্ট ঠিকাদার শফিকুল ইসলাম শফিক, এ্যাড.আঃ রশিদ ও নাছিম পারভেজ।

এসময় রায়নগর ইউনিয়নের উপ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মহাস্থান গ্রামের আলহাজ আব্দুল জলিলের ছেলে মো: তাজুল ইসলাম অপর প্রার্থী মহাস্থান সরকারী হাটের ইজারাদার মো: শফিকুল ইসলাম এর মনোনয়পত্রের বৈধতা নিয়ে উপজেলা নির্বাচন ও রির্টানিং অফিসার, শিবগঞ্জ, বগুড়াকে প্রতিপক্ষ করে জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা বরাবর ০২/২০১৯ নং আপিল কেস দায়ের করেন। এতে আপিলকারী মো: তাজুল ইসলাম জানান, রায়নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো: শফিকুল ইসলাম একজন ঠিকাদার। তিনি একই ইউনিয়ন পরিষদের অধিন মহাস্থান হাট-বাজারের বর্তমান ইজারাদার এবং রায়নগর ইউনিয়ন পরিষদের সাথে তার আর্থিক লেনদেন আছে। এ কারণে স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর ২৬(২) (ছ) ধারার বিধান মোতাবেক মো: শফিকুল ইসলাম অত্র ইউনিয়ন পরিষদের উপ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার অযোগ্য। মো: তাজুল ইসলাম আরও জানান, হাট-বাজারের ইজারা মূল্যের একটি অংশ উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের তহবিলে জমা হয়। ইউনিয়ন পরিষদের সাথে তার আর্থিক সংশ্লিষ্টতা থাকায় তিনি মো: শফিকুল ইসলাম এর মনোনয়নপত্র বাতিলের দাবী জানান। অপরদিকে মো: শফিকুল ইসলাম স্বীকার করেন যে তিনি একজন ঠিকাদার এবং মহাস্থান হাট-বাজারের একজন ইজারাদার। তিনি হাটের ইজারা মূল্যের সমূদয় টাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট জমা দিয়ে থাকেন। রায়নগর ইউনিয়ন পরিষদের আর্থিক বিষয়ে তার সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেন এবং তার মনোনয়নপত্রের বৈধতা বহাল রাখার অনুরোধ করেন।

উভয়পক্ষের শুনানী শেষে সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার, বগুড়া ও আপিল কর্তৃপক্ষ, ইউনিয়ন পরিষদ উপ-নির্বাচন-২০১৯ মো: মাহবুব আলম শাহ সংশ্লিষ্ট নথি, দাখিলকৃত কাগজপত্রাদি পর্যালোচনা করে উক্ত ধারা মতে স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর ২৬(২) (ছ) ধারার বিধান মোতাবেক মো: শফিকুল ইসলাম এর মনোনয়নপত্র গ্রহনের আদেশ আইন সঙ্গত মর্মে প্রতিয়মান না হওয়ায় তার প্রার্থীর পদ বাতিলের আদেশ দেন এবং আপিলকারী মো: তাজুল ইসলামের আপিল মঞ্জুর করেন।
এরপর স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম সফি, সরকার দলীয় প্রার্থী তাজুল ইসলাম ও বগুড়া সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার, মো: মাহবুব আলম শাহ’র দায়ের করা প্রার্থীতার পদ বাতিলের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে আপিল করেন। বেশ কয়েক দিন মামলাটি আইন প্রক্রিয়াধীন থাকার পর মহামান্য হাই কোর্ট স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম সফির পক্ষে প্রার্থী বৈধতার রায় দেন।