ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভায় ধাক্কাধাক্কিকে কেন্দ্র করে নবরাজ (১৮) নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় আরও এক ছাত্রলীগ নেতার আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বিকেলে মহানগরীর টাউন হল মোড়ে এই ঘটনা ঘটে।

আহত নবরাজ মহানগরীর অমৃতবাবু রোডের মৃত গোবিন্দ রায়ের ছেলে। তিনি মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তাফসির আলম রাহাতের কর্মী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র‌্যালির আয়োজন করে মহানগর আওয়ামী লীগ। সভা চলাকালে মহানগর ছাত্রলীগের দুইপক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। আলোচনা সভা শেষে টাউন হল এলাকায় প্রতিপক্ষরা নবরাজকে ছুরিকাঘাত করে। পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তাফসির আলম রাহাত বলেন, সভা চলাকালে দুইপক্ষের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। তখন আমি নিজে গিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে দিই। পরে আমরা মিছিল নিয়ে কেন্দ্রের দিকে চলে আসি কিন্তু নবরাজ সেখানে একাই ছিল। তাকে একা পেয়ে মহানগরের আহ্বায়ক নওশেল আহমেদ অনির সমর্থকরা নবরাজকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করে।

তিনি আরও বলেন, নবরাজের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ১১টি সেলাই লেগেছে। ঘটনার সময়ের ভিডিও ফুটেজ পেয়েছি। তাদের চিহ্নিত করে নাম-ঠিকানা সবই বলা হবে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নওশেল আহমেদ অনি বলেন, সভা চলাকালে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এসময় নবরাজ চাইনিজ কুড়াল দিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ছাত্রলীগের এক নেতাকে কোপ দেয়। এই ঘটনার জেরেই নবরাজকে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ছাত্রলীগের ছেলেরা মারধর করেছে। সেখানে আমার কোনো নেতাকর্মী ছিল না।

ওইসময় নবরাজের কাছ থেকে চাইনিজ কুড়াল পুলিশ জব্দ করেছে বলেও দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম বলেন, সভা চলাকালে দুইপক্ষের ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় একজন আহত হয়েছে। তাকে দেখতেই হাসপাতালে এসেছি।

কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, একজন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। তবে, কেন এমন ঘটনা ঘটেছে জানতে পুলিশ কাজ করছে।