বাগেরহাট-৪ উপনির্বাচন

আওয়ামী লীগ ছাড়া সবার মনোনয়নপত্র বাতিল

প্রকাশিত: ৯:০৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০
রোববার মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলী একমাত্র বৈধ প্রার্থী হিসেবে মো. আমিরুল আলম মিলনের নাম ঘোষণা করেন। ছবি: ইউএনবি

বাগেরহাট-৪ সংসদীয় (মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা) আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোনীত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় এই আসনে একক প্রার্থী হিসেবে টিকে থাকলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ্যাড. মো. আমিরুল আলম মিলন।

রোববার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার মিলনায়তনে উপনির্বাচনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলী তাদের মনোনয়ন বাতিল করেন।

এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী এ্যাড. আমিরুল আলম মিলন, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কাজী খায়রুজ্জামান শিপন ও জাতীয় পার্টির মনোনিত প্রার্থী সাজন কুমার মিস্ত্রী মনোনয়ন পত্র জমা দেন।

খুলনা বিভাগীয় নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলী বলেন, ঋণ খেলাপি হওয়ায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাজন কুমার মিস্ত্রী’র মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে। সময়মত পৌর কর পরিশোধে ব্যর্থতা ও  খেলাপি ঋণ থাকায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কাজী খায়রুজ্জামান শিপনের মনোনয়ন পত্রটিও বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে এখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ্যাড. মোঃ আমিরুল আলম মিলন একক বৈধ প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, বাতিল প্রার্থীরা ২৬ তারিখের মধ্যে নির্বাচন কমিশন বরাবর তাদের প্রার্থীতা ফিরে পেতে নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করতে পারবেন। ২৯ তারিখের মধ্যে এই আবেদনের নিষ্পত্তি করবেন নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনেও যদি তাদের প্রার্থীতা বাতিল হয় তাহলে ১ মার্চ এ্যাড. আমিরুল আলম মিলনকে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।

উল্লেখ্য, ১০ জানুয়ারি ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায়বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন মৃত্যুবরণ করলে আসনটি শূন্য হয়। ৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন। ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং ২১ মার্চ ভোট গ্রহণের কথা রয়েছে।