স্থানীয় সরকার পরিষদ আইন হালনাগাদে কমিশন গঠন করছে সরকার

প্রকাশিত: ৬:৩৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৪, ২০২০

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আইনগুলো হালনাগাদে কমিশন গঠন করছে সরকার। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে রয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিবের উদ্ধৃতি দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

সোমবার (২৪ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সচিব। এর আগে কমিশন সভায় উত্থাপিত স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন-২০২০ এর খসড়া নিয়ে আলোচনা হয়।

দেশে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের পাঁচটি পৃথক আইন রয়েছে যেগুলো হলো- স্থানীয় সরকার (জেলা পরিষদ) আইন, স্থানীয় সরকার (উপজেলা পরিষদ) আইন, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন এবং স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন।

ইসি সচিব বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে তারাও তাদের আইনগুলোকে হালনাগাদ করতে একটি কমিশন গঠন করবে। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সরকারে ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে রয়েছে। ওই কমিশন গঠন হলে তখন হয় তো ওই কমিশনেও এই সংশোধনীর বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে। সেখানে প্রয়োজনীয় সংশোধনীর প্রস্তাব আসবে।

এই আইন প্রণয়নে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের আইনগুলোতে পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়বে না মন্তব্য করে সচিব মো. আলমগীর বলেন, এই আইনের কারণে ওই আইনগুলো সংশোধনের তেমন একটা প্রয়োজন পড়বে না। তবে, আইনটি বাংলায় করলেও একটা প্রস্তাব আছে যে শব্দগুলো প্রচলিত রয়েছে, বাংলার পাশাপাশি সেই পরিভাষাগুলো রাখার প্রস্তাব এসেছে। যেমন যদি ধরেন মেয়র। পাশে ব্রাকেটে মেয়র শব্দটি ইংরেজিতে থাকবে। আর বাংলায় নগরপিতা বা মহানগর প্রধান ইত্যাদি যা হোক হবে। তবে এটা কিন্তু চূড়ান্ত নয়। এখানে জাস্ট উপমা হিসেবে দেয়া হয়েছে। আল্টিমেটলি যারা সংসদে আইন করবেন তারাসহ যেসব জায়গায় যাবে সেখান থেকে যে বেস্ট সাজেশন আসবে সেটা হবে। প্রতিশব্দ হিসেবে যেহেতু ইংরেজি শব্দ থাকছে তার কারণে মূল আইন পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। পরিবর্তন না করলেও কোনো সমস্যা হবে না।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, প্রচলিত ইংরেজি শব্দগুলো হঠাৎ বাংলা করা হলে একটি কনফিউশন তৈরি হবে। কী মিন করা হচ্ছে অনেকে বুঝবেন না। সেই জন্য পুরনো ইংরেজি থাকবে। আর আইন যেহেতু একই সংসদে পাস হবে, ফলে যদি মনে করা হয় ইংরেজিটা থাকবে বাংলা করার দরকার নেই তাহলে সেটাই থাকবে। তারা চাইলে বাংলাটি সুন্দর, সমৃদ্ধ ভাষা তাহলে বাংলাই হবে। তাদের আইনে অনেক পরিবর্তন আনতে হবে।

এইচএস/এফআর/এমএস